১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডাক্তার আকাশের আত্মহত্যা : স্ত্রী মিতুর জামিন বহাল

ডাক্তার আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে স্ত্রী মিতুর বিরুদ্ধে - ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নো অর্ডার দেন। ফলে তাকে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল থাকলো।

আদালতে মিতুর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

গত ২৮ আগস্ট মিতুকে স্থায়ী জামিন দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সকালে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় মোস্তফা মোরশেদ ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শিরায় বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন। তার আগে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন রাতে চিকিৎসক দম্পতির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভোররাত চারটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান তানজিলা।

পরে স্ত্রীর সমালোচনা করে স্বামী মোস্তফা মোরশেদ ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিংয়ের শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম।’

ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরের নন্দনকানন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তানজিলাকে আটক করে।

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মোস্তফা মোরশেদের স্ত্রী, শ্যালিকা, দুই বন্ধুসহ ছয়জনকে আসামি করে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন চিকিৎসকের মা জোবেদা খানম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানসিক যন্ত্রণা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করায় আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মৃত্যুর মুখে পড়েন মোস্তফা মোরশেদ। ২০০৯ সালে তানজিলার সঙ্গে মোস্তফার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের আগে ও পরে অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। মোস্তফা বিষয়টি জানার পর তার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানান। তবে তারা শোধরানোর উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো মোস্তফাকে শাসাতে থাকেন। তানজিলার বোন সানজিলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নানাভাবে মোস্তফাকে হুমকি দিয়ে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকেন।

এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন মিতু। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।


আরো সংবাদ



premium cement