প্রসাদ খাইয়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হরে কৃষ্ণ হরে রাম মন্ত্র পাঠ : যা বলল হাইকোর্ট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:২২, আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৭
বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এনজিও ইসকনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের স্কুলে স্কুলে প্রসাদ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করানোর অভিযোগ হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের নজরে আনেন।
এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আদালত বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে যদি প্রসাদ খাইয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যায়।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রসাদ খাইয়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হরে কৃষ্ণ হরে রাম মন্ত্র পাঠ’ শিরোনামে গতকাল ১৮ জুলাই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রসাদ খাওয়ালো আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচির আড়ালে গত ১১ জুলাই থেকে নগরীর প্রায় ৩০ টি স্কুলের শিক্ষার্থীর মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ইসকন কর্মীদের শেখানো মতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করে এ প্রসাদ গ্রহণ করে।
এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতের নজরে আনেন ওই আইনজীবী। তিনি আদালতকে বলেন, এক ধর্মের রীতি নীতি অন্য ধর্মের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া আমাদের সংবিধান বিরোধী।
এতে হাইকোর্ট বলেন, একটা এনজিও স্কুলে খাবার বিতরণ করতে পারে। কিন্তু জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে যদি প্রসাদ খাইয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যায়।
আদালত বলেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। এর আগে শবেবরাত নিয়েও আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আপনারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিতে পারেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আছে, স্থানীয় প্রশাসন আছে তাদেরকে বলুন।
এ পর্যায়ে আইনজীবী তৈমুল আলম খন্দকার বলেন, আদালত আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। আমরা আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। সেখানে প্রতিকার না পেলে আবারও আপনাদের (আদালতের) কাছে আসতে হবে।