২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হাইকোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত

-

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দণ্ডিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: গোলাম ফারুককে বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো: গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত ওই কর্মকর্তাকে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: গোলাম ফারুককে দুর্নীতি দমন কমিশনের রমনা থানায় করা বিশেষ মামলায় দণ্ড দেয়া হয়। গণকর্মচারী (সাজাপ্রাপ্তিতে বরখাস্ত) অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এর ৩ সাজাপ্রাপ্তির কারণে বরখাস্ত (১) বিদ্যমান অন্য যে কোন আইনে অথবা বিধি, প্রবিধি, উপ-আইন, দলিলপত্র বা চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলীতে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কর্মচারী তফসিলে বর্ণিত ফৌজদারী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হলে, রায় বা সাজার আদেশ ঘোষণার তারিখ হতে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি হতে বরখাস্ত হিসেবে গণ্য হবেন। প্রধান বিচারপতির ২৮ মে’র এক আদেশে উক্ত সাজার তারিখ (৯ মে) থেকে আপনাকে (গোলাম ফারুক) অত্র কোর্টের চাকরি হতে বরখাস্ত (dismissal from service) করা হলো।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. মো: আখতারুজ্জামান অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোর্ট কিপার শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দুই ধারায় তিন বছর করে ও তার স্ত্রীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আসামি গোলাম ফারুককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৯০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা অর্থদণ্ড এবং তার স্ত্রী সৈয়দা মমতাজকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আসামিরা দুজনই পালাতক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুদক গোলাম ফারুককে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিলে তিনি তা দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দুদক দেখে গোলাম ফারুক তার নিজ নামসহ দুই স্ত্রীর নামে সর্বমোট ৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের হিসাব দায়ের করেন। ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে বলে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন।

গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সন্ধান পায় দুদুক। তাকে সাহায্য করার অপরাধে ২০১২ সালের ১৪ জুন দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার গোলাম ফারুকের স্ত্রী সৈয়দা মমতাজের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে তিনিই মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালে ২ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪ সুইডেনে বসবাসের অনুমতি বাতিল কুরআন পোড়ানো শরণার্থীর ভালো আছেন খালেদা জিয়া

সকল