বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচিতে সংগ্রহ ১১ কোটি টাকা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৪
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচির ১৪ দিনে নগদ ও ব্যাংকিং মাধ্যমে ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত এ অর্থের এক কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় হিসাবে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ফান্ডে রয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা। ফান্ডের এ অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তবে কিভাবে এ পুনর্বাসন হবে তা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও গণত্রাণ কার্মসূচির সাথে যুক্ত রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগদ অর্থ, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকিং মাধ্যমে ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া যেই অর্থ ফান্ডে রয়েছে, এ টাকা আমাদের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত জনতা এবং সোনালি ব্যাংকের একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। জমাকৃত এ অর্থ আমরা আগামীতে বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছি।
পুনর্বাসনে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ফারহান বলেন, সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় কিংবা সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করার ইচ্ছে রয়েছে। তবে সবার পরামর্শ নিয়ে আমরা পুনর্বাসনের কাজটি করতে চাই। সেক্ষেত্রে সকলের মতামত ও পরামর্শ আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১৯১ ট্রাক ত্রাণ বন্যাকবলিত অঞ্চলে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বেসরকারি এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলগুলোতেও ওই সময়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হয়। গত ২৮ আগস্ট থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো শুরু হয় গণরান্না কর্মসূচি। যার ফলে যুক্ত হয় চাল-ডাল পাঠানোর কার্যক্রম। পুরো এ কার্যক্রমে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার থেকে ২০০-’র অধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন।