ইমরানের পিটিআই সংরক্ষিত আসন পাবে
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্লামেন্টে আলাদা ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। এতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কারণ দল হিসেবে পিটিআইকে নির্বাচন করতে দেয়া হয়নি। এই নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিতরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায়। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায় পার্লামেন্টে যে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে সেগুলো পিটিআই পাবে না। কারণ তাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পিটিআইয়ের বদলে এসব আসন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দলগুলোকে দেয় নির্বাচন কমিশন। রয়টার্স
তবে গতকাল শুক্রবার দেয়া রায়ে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে পিটিআই সংরক্ষিত আসন পাবে।’ ১৩ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত এই বেঞ্চের ৮ বিচারপতি পিটিআইয়ের পক্ষে এবং ৫ জন বিপক্ষে রায় দেন।
পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার সাংবাদিকদের বলেছেন, পিটিআইকে ২৩টি সংরক্ষিত আসন দেয়া হলেও পার্লামেন্টে তাদের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হবে না। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষের ৩৩৬টি আসনের মধ্যে শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের দখলে এখনো ২০০টিরও বেশি আসন রয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে ৭০টি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যার মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। ‘পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লিগ্যাস্লেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি থিংক ট্যাংকের’ প্রেসিডেন্ট আহমদ বিলাল মেহবুব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, শাহবাজের জোট সরকার প্রত্যাশা করছিল তাদের কাছে পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে তাদের এই আশা ভঙ্গ হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে পিটিআই পার্লামেন্টেও ফিরে আসতে পারছে। কারণ আদালত ঘোষণা দিয়েছে, পিটিআই এখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। যদিও তাদের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে দেয়া হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা