দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চীন সফরে যাচ্ছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চাচ্ছেন তিনি। আর চীনে যাওয়ার জন্য ওনাকে অনুমতি নিতে হয়েছে। দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীকে চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তা হলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিল সেটি আজ কোথায়? ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেটি আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এ লজ্জা আজকে জাতির। এ কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেননি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রমিক দল ঢাকা মহানগরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

রিজভী আরো বলেন, শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচামরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না। তিনি বলেন, এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের কোটি কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক-দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোর্ট পরে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
রিজভী আহমেদ আরো বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভূঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার ময়ূর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দেবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দিন।

অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, সুমনদের গ্রেফতার করে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না। অচিরেই আপনার তক্তে তাউস ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। সুমনের মুক্তি দাবি করেন।
মিছিলে আরো অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, দলের সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের সবুজ, শাহআলম, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা: আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ শ্রমিক দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।