ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে ভারতে নারী পাচার

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে মানবপাচারে জড়িত মো: বেল্লাল হোসেন (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের সদর থানার সানকিভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব-৭ বলছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টর আড়ালে চট্টগ্রাম থেকে ভারতে মানব পাচারকারী চক্রের সে মূল হোতা। বেল্লাল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার লেনুয়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
এর আগে গত ২৪ জুন ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক নারী বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ঝুমু নামে এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। সেখানে তিনি মানবপাচার সিন্ডিকেটের প্রধান বেল্লালের নাম উল্লেখ করেন। এরপর র‌্যাব অভিযানে নেমে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
র‌্যাব জানায়, বেল্লাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাচ-গানের সাথে সম্পৃক্ত। এ সুবাদে আঞ্চলিক নৃত্যশিল্পীদের সাথে তার পরিচয় হয়। এ ছাড়াও গার্মেন্টে কর্মরত বিভিন্ন মেয়েদের নৃত্যদলে নেয়ার কথা বলে তাদের সাথে তিনি সখ্য গড়ে তোলেন। এ সুযোগে নারীদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিউটি পার্লার এবং বিভিন্ন গার্মেন্টে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তাদের পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত পার করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো: শরীফ উল আলম বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মানবপাচারে জড়িত দুই নারী গ্রেপ্তারের পর বেল্লাল এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তিনি যশোর জেলার সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন সানকিভাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।