১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
মেয়ে ও গৃহকর্মীসহ গ্রেফতার ৩

সাভারে সাবেক এমপির স্ত্রীকে হত্যার রহস্য ১৩ বছর পর উদঘাটন

-

সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিশ মেহের হত্যা মামলার রহস্য ১৩ বছর বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার নিজ বাসভবনে তাকে রান্নাঘরে তার গলায় চাকু চালিয়ে হত্যা করে ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০)। এর পর দেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক শক। তারপর তাকে বেডরুমে এনে শুইয়ে রাখা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূল হত্যাকারী সাবেক এমপির বাসার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবল কুমার রায়, সাবেক এমপির বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপি এবং গৃহপরিচারিকা আরতি সরকার (৬০)। পিবিআই সুনির্দিষ্ট করে বলছে, অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় ভিকটিমকে হত্যা করা হতে পারে। তদন্ত এখনো চলছে। পুরো তদন্ত শেষ হলে সবকিছু জানা যাবে। পিবিআইয়ের দাবি, ভিকটিমের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপির (৫৫) সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তাদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করা বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবলের। বিষয়টি তার মা জানার পর ২০০৫ সালে বাসায় যেতে নিষেধ করেন সুবলকে। ২০০৮ সালে সুবল তার গ্রাম নেত্রকোনায় বিয়ে করে। ২০১১ সাল থেকে সুবল ফের ওই বাসায় গোপনে যাতায়াত শুরু করে। ২০১১ সালে ১৪ জুন ভোরে সুবল ওই বাসায় ঢুকলে সেলিমা খান মজলিশ বাসার ছাদ থেকে তা দেখে ফেলেন। তিনি চিৎকার করে সুবলকে গালমন্দ করেন। এরপর সুবল ও শামীমা খান ওরফে পপি বাসার দোতলায় গেলে এ নিয়ে সেলিমা খান মজলিশের সাথে তাদের বাগি¦তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রান্নাঘরে মেয়ের সহায়তায় তার মায়ের গলায় ফল কাটার চাকু দিয়ে পোচ মারে সুবল। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডিতে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাত ঘুরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
বনজ কুমার বলেন, জবানবন্দী থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৪ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে যেকোনো সময় এই ঘটনা ঘটে। বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পাশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে পোচ মারার পর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে কাদের খান মজলিশ সেতুর কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দু’টি বালিশ দিয়ে চাপা দেয়া হয়। ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সুবল- কুমার রায়। গৃহপরিচারিকা আরতি সব পর্যবেক্ষণ করে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement