সুখের কারখানা
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০২ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৪
দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু কেন্দ্রের কক্ষকে বলা হয় ‘সুখের কারখানা’ বা হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি। এ ছোট কক্ষগুলোতে ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং বাসিন্দারা কয়েদিদের মতো নীল পোশাক পরেন। তবে, তারা কয়েদি নন। তাদের উদ্দেশ্য, একাকিত্বের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
এ কেন্দ্রগুলোতে যেসব অভিভাবকরা আসেন, তাদের সন্তানরা ‘হিকিকোমোরি’ নামে পরিচিত, যারা সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৫ শতাংশের বেশি তরুণ এ অবস্থার শিকার।
নির্জন কক্ষে থাকার অভিজ্ঞতায় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের মানসিক অবস্থা ও আবেগগুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। যেমন জিন ইয়ং-হে (ছদ্মনাম) বলেন, তার ছেলে তিন বছর ধরে নিজেকে আলাদা করে রেখেছে, এবং নির্জন কক্ষে থাকার পর তিনি তার ছেলের অবস্থা আরো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের গুটিয়ে নেয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব, সামাজিক সম্পর্কের সমস্যা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হারও বেশি। এ সমস্যার সমাধানে সরকার পাঁচ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা