গণ্ডারের শিঙে তেজস্ক্রিয় পদার্থ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
পাচার ঠেকাতে এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। এবার তারা জীবন্ত গন্ডারের শিংকেই ‘তেজস্ক্রিয়’ করেছেন। গন্ডারের শিঙে তারা তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করিয়েছেন। ফলে সীমান্ত চৌকি দিয়ে পাচার করার সময় গণ্ডারগুলো সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এই বিশেষ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ইউনিভার্সিটি অব উইটওয়াটার্সর্যান্ডের রেডিয়েশন অ্যান্ড হেলথ ফিজিকস ইউনিটের পরিচালক জেমস লারকিন জানিয়েছেন, গণ্ডারের ‘শিঙে দুটো ছোট্ট তেজস্ক্রিয় চিপ ঢুকিয়ে’ দেয়া হয়েছে। ফলে গণ্ডারের শিং আর মানুষের খাওয়ার উপযোগী থাকবে না।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে ইনজেকশনের মাধ্যমে। এর জন্য প্রথমে গণ্ডারকে ঘুম পাড়িয়ে নেয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াটারবার্গ এলাকায় লিমপোপো গণ্ডার সংরক্ষণ এলাকায়। বিজ্ঞানীদের দাবি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ খুব কম মাত্রায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। ফলে এটি প্রাণীটির স্বাস্থ্য বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করছে না। গণ্ডারের শিঙে পাঁচ বছর টিকে থাকবে এ তেজস্ক্রিয় পদার্থ। ১৮ মাস পরপর প্রাণীটির শিং কেটে ফেলার চাইতে এ প্রক্রিয়ায় খরচ অনেক কম বলে জানান বিজ্ঞানীরা। পাচারকারীদের কাছে দাম কমিয়ে দেয়ার জন্য গণ্ডারের শিং কেটে ফেলা হয়। এ ছাড়া শিং ফের গজালেও পাচারকারীরা শিং কাটার সময় গণ্ডারকে ঘুম না পাড়িয়ে হত্যা করে ফেলে। এটি প্রতিরোধেই ১৮ মাস পরপর গণ্ডারের শিং কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি। বিশ্বের অধিকাংশ গণ্ডারের নিবাস দক্ষিণ আফ্রিকায়। এশিয়ায় ঐতিহ্যবাহী কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে অপ্রমাণিত ওষুধ বানানোর জন্য প্রাণীটির শিঙের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কালোবাজারে গণ্ডারের শিং চড়া দামে বিক্রি হয়। একসময় ভিয়েতনামে কোকেনের চেয়ে দামি হয়ে উঠেছিল গণ্ডারের শিং। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় গণ্ডার পাচার বড় সমস্যা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১৫ হাজার জীবিত গণ্ডার রয়েছে বলে উঠে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল রাইনো ফাউন্ডেশনের এক প্রাক্কলনে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলেছিল, অবৈধ বাণিজ্য ঠেকাতে সরকারের আপ্রাণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ৪৯৯টি গণ্ডার হত্যা করা হয়েছে বেশির ভাগই রাষ্ট্রচালিত পার্কে। এ সংখ্যা ২০২২ সালের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা