জামালপুরে ৯৬ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত

আগামীকাল দেশে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন জামালপুরের বেলটিয়ায় শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯৬ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানরা দীর্ঘ দুই বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছে। তারা নিয়মিত, বেতন ফি ও পরিশোধ করেছে। পরীক্ষার ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অথচ তাদের ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তাদের অভিযোগ কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে ৯৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২৩ জুন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র এখনো আসেনি। এরপর পরীক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে প্রবেশপত্র দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ পর‌্যায়ে সরকারের কোনো অনুমোদন নেই । ফলে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ হয়নি।

শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কথিত উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর জানান, এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ভালো জানেন। এখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। কারণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো উপাধ্যক্ষের পদ নেই। জামালপুরের সরকারি ইসলামপুর কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ (অব.) বলেন, ডিগ্রি কলেজ ছাড়া কোনো স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপাধ্যক্ষের কোনো পদ নেই।
এ ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে। তাদের সাথে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে টেলিফোনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন কলেজ গভর্নিং বডি।