১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আতঙ্কিত যাত্রীরা

দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে সাপ!

-

রাসেল ভাইপার আতঙ্কের মধ্যে এবার চলন্ত দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে সাপ দেখা গেছে। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দোলনচাঁপা এক্সপ্র্রেস ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পায় যাত্রীরা। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে যায়, আবার কৌতূহলে কেউ কেউ ভিডিও করে। ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাপ ট্রেনের ছাদে নড়াচড়া করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পায় যাত্রীরা। আর এতে পুরো ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ের লোকজন সাপটি উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে। তবে ট্রেনটি চলন্ত থাকায় সাপটি সেই মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই। অবশ্য সাপটি আলোচিত রাসেল ভাইপার কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ট্রেনটি পঞ্চগড়ে পৌঁছার পর রেল কর্মচারীরা সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তবে পুরো ট্রেন তল্লাশি করেও সাপটি তারা খুঁজে পায়নি।
ট্রেনের পাওয়ার কার ড্রাইভার শাহিনুর ইসলাম বলেন, সাপটি পাওয়ার কারের ইঞ্জিনের বগির ওপর ছিল। যেই বগির ওপর দেখা গিয়েছে সেই বগি আমাদের সান্তাহার ডকেই ছিল। কিন্তু আমরা রাতে কোনো কিছু দেখতে পাইনি। দিনাজপুর পার হওয়ার পর পার্বতীপুর এবং চিরির বন্দরের মাঝখানে দেখা যায়। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে একজন প্রথমে দেখতে পান। পরে আমাদের একজন স্টাফ ভিডিও করে। বিষয়টি আমরা পীরগঞ্জ স্টেশনে জানিয়েছি। ডিআরএম স্যারকে জানানো হয়েছে। পরে সাধারণ কোনো লোক উপরে উঠতে ভয় করছিল। এরপর রুহিয়া স্টেশনে খোঁজ করা হয়, সেখানেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে পঞ্চগড়ে পৌঁছার পর সেখানেও সাপটিকে পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি দুই বগির মাঝখানে যে রাবার থাকে ওই রাবার থেকে বের হতে পারে। ওই রাবারের মধ্যে আবার পাতাও ছিল। ওই বগিটি সৈয়দপুর থেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যখন বগিতে পানি দেয়া হয়, তখন কিন্তু কেউ সাপ দেখতে পায়নি। ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত ট্রেনের সব যাত্রী আতঙ্কিত ছিল। আমরা আরো বেশি আতঙ্কিত ছিলাম। কারণ আমাদের পাওয়ার কারের ওপরেই ছিল সাপটি।


আরো সংবাদ



premium cement