বেনজীর দম্পতির সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মির্জার নামে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, পাঁচটি প্লট, দু’টি অফিস স্পেস ও বান্দরবানে থাকা ২৫ একর জমির তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এসব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- রূপগঞ্জ আনন্দ হাউজিং সোসাইটির ছয় কাঠার চারটি প্লট যার মোট জমির পরিমাণ ২৪ কাঠা এবং এর উপরিস্থিত স্থাপনা যা সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিডেটের নামে রেজিস্ট্রি করা। জীশান মীর্জার মালিকানাধীন গুলশানের তিন কাঠা জমির প্লট ও এর ওপর থাকা স্থাপনা। বাড্ডায় রূপায়ণ মিলিনিয়াম স্কয়ারে অষ্টম তলায় দু’টি অফিস স্পেস ও দু’টি কার পার্কিংসহ ৩৯.০৩ শতাংশ জমি যা সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার জীশান মীর্জার নামে রেজিস্ট্রি করা।
বান্দরবানে ২৫ একর জমি ও এর উপরিস্থিত স্থাপনা এবং আদাবরের পিসি কালসার হাউজিংয়ে ছয়টি ফ্ল্যাট। এর আগে গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আরো সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীরের। এ জমিগুলো তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং আত্মীয় আবু সাঈদ মো: খালেদের নামে।
এছাড়াও বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিল মূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিল মূল্য দেখানো হয়েছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
এছাড়াও বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকার গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দু’টি ফ্ল্যাটের আয়তন দুই হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন দুই হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, যার দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিন একই ভবনে। ভবনটির নাম র‌্যাংকন আইকন টাওয়ার।