১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব চাপে আছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

-

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু শহরের ফিক্সড ইনকামের লোকের চেয়ে ভালো আছে। গ্রামে যারা অটো চালায় তারাও কিন্তু একটা গরু বা ছাগল পালন করে। বিকেল বেলা একটু খেতে যায় শস্য দেখতে। তাদের কিন্তু মাল্টিপল ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটি আছে। আমাদের খুব বেশি চাপে আছে ফিক্সড ইনকামের (নির্ধারিত আয়) শহর বেইজড লোকগুলো। তাদের জন্য টিসিবিসহ অন্যান্য কর্মসূচি আছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে আমদানিকৃত দুটি পণ্য চিনি এবং তেল, এ দুটোর সরবরাহ ও দাম গত ৫-৬ মাস স্থিতিশীল আছে। আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে। আমাদের কাছে ট্যুলস যেটি আছে তা হলো- আমদানি করে কিছু পণ্য সংগ্রহ করতে পারি। আমরা টিসিবিকে অনেক শক্তিশালী করেছি।

মানুষের কাছে টাকা আছে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন করে রেমিট্যান্স এসেছে। যেটা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৩৮ শতাংশ গত বছরের এই সময় থেকে বেশি। এই পুরো দুই বিলিয়নই কিন্তু একেবারে গ্রামের অর্থনীতিতে গিয়ে হিট করে। এই রেমিট্যান্সটা শহরে আসে না, কোনো ব্যাংকে আসে না, গ্রামে চলে যায়। গ্রামের ওই সাধারণ মানুষটির ক্রয়ক্ষমতা এটার কারণেও বাড়ে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আমাদের স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য ডব্লিউটিওসহ বিভিন্ন জোটের সাথে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা যেন অব্যাহত থাকে সেই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি নির্দিষ্ট স্থানে দোকানভিত্তিক কিভাবে করা যায়, দিনের শেষে লাইনে না দাঁড়িয়ে কার্ডটি দেখিয়ে একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় যেন জিনিসটা নিয়ে যেতে পারেন। সারা দেশে প্রায় আট হাজারের মতো ডিলার রয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট দোকানে আনা কষ্টসাধ্য। সেটি আমরা পর্যায়ক্রমে করে যাচ্ছি। কার্ডটাকে আমরা স্মার্ট করে দিচ্ছি।
মন্ত্রণালয়ের দফতরগুলোতে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্যারিফ কমিশনকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাবো ডব্লিউটিও’র রুলস অনুযায়ী আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা রাখতে পারবো না। অন্যের মার্কেট পেতে চাইলে আমাদের মার্কেট ওপেন করতে হবে। তখন আমাদের ট্যারিফ রেশনালাইজ করতে হবে। সেটা করতে হলে আমাদের ট্যারিফ কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement