ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সরকারের ভয়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় সহযোগিতা না দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। তিনি বলেন, এ দেশের সাধারণ মানুষ যদি এখন এই হাসপাতালের ইট খুলে নিয়ে যায় তাহলে তাদের করার কিছু থাকবে না। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মহিলা দলের দোয়া মাহফিলে তিনি অভিযোগ করেন খাবারে ওষুধ মিশিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করা হয়েছে। তিনি বলেন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে খাবারের মধ্যে নানা রকমের ওষুধ দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, তাকে তিলে তিলে শেষ করা। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, যে নেত্রীকে দেখলাম হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেত্রী বের হলেন হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগাক্রান্ত, একের পর এক অসুস্থতায় তিনি ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আইনমন্ত্রীকে মানসিক অসুস্থ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যখনই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়, আইনমন্ত্রী সাথে সাথে বলে দেন এটা হবে না। অনেকেই বলে আইনমন্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে কোনো করুণা, সহানুভূতি, মানবিকতা নেই।
ভারতের সাথে সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বলেন, এই চুক্তি সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেয়ার চুক্তি। নিজের স্বার্থ ছাড়া এক দানা চালও দেবে না ভারত। শহীদের রক্ত ডিঙ্গিয়ে কোরিডোর দিতে চাননি বলেই বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হয় না।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ইস্যুতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতির বিষয়টি তুলে ধরে রিজভী বলেন, পুলিশের বিবৃতি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের মহাপরিকল্পনার অংশ পুলিশ, তাই সরকার লুটপাটের সুযোগ দেবে না কেন? দেশে যেই অপরাধ করুক তার বিচার হওয়া উচিত। পাচারকারী, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলছে সরকার। অন্যায়-অবৈধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিবৃতি দিয়েছে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, সত্যের প্রতিধ্বনি হলে পুলিশের গায়ে লাগে। চাকরির নামে দোসর হয়ে হাজার কোটি টাকা লুট করে পাচার করছে পুলিশের কর্মকর্তারা। প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চায়।
শেখ হাসিনার আমলে ক্যাসিনো, সিন্ডিকেটবাজ ও দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ নাকি শেখ হাসিনাকে আপা বলতেন, আপার জন্য গুমের পর গুম চালিয়ে গেছেন। তবে এত অপকর্মের পরও বেনজীরদের কিছু হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা