পানি বিশুদ্ধের উপায়
- ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বন্যা পরবর্তী অবস্থায় দেখা যায় চার দিকে পানি আর পানি। কিন্তু খাওয়ার জন্য কোনো পানি থাকে না। বিখ্যাত ইংরেজ কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের দ্য রাইম অব দ্য অ্যানসিয়েন্ট ম্যারিনার কবিতায় তিনি এমনটাই বলেছেন, ওয়াটার ওয়াটার এভরিহয়ার অ্যান্ড নট আ ড্রপ টু ড্রিঙ্ক!
টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো বন্যার কবলে পড়েছেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। বন্যা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে। তাই এ সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খাবার পানি বিশুদ্ধকরণের নানা উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
বন্যায় পানিবন্দী মানুষের অস্থায়ী দুর্ভোগ পোহাতে হয় দুই সময়। বন্যায় পানিবন্দী থাকার সময় প্রথম পর্যায়ের দুর্ভোগ। আর বন্যার পানি কমার পর শুরু হয় দ্বিতীয় দুর্ভোগ। এ সময়ে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সুপেয় পানির উৎস্য প্রধানত দুটো। গভীর নলকূপ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা খাবার পানি। কিন্তু এই বন্যায় হাজার হাজার নলকূপ, পানি সরবরাহের পাইপলাইন ও শৌচাগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট মোকাবেলায় সবার আগে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
পানি ফুটানো : বন্যার পর অবশ্যই পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কেননা, পানি ফুটালে এতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীসহ রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু মারা যায়।
রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার : অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে পানি ফুটানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে রাসায়নিক জীবাণুনাশক যেমন গন্ধহীন ক্লোরিন ব্লিচ, আয়োডিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেট ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ পানি পান করার জন্য নিরাপদ করতে পারেন।
ফিল্টারের মাধ্যমে পরিশোধন : কিছু পোর্টেবল পানির ফিল্টার আছে, যা খাবার পানি থেকে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী দূর করতে পারে। ফিল্টার করার পরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস নিশ্চিত করতে ফিল্টার করা পানিতে আয়োডিন, ক্লোরিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইডের মতো জীবাণুনাশক যোগ করা যেতে পারে।
এগুলো সম্ভব না হলে শহুরে পদ্ধতিতে বিক্রয় করা বোতলজাত পানি সংগ্রহ করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা