১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল-মিষ্টান্ন উপহার

-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য গতকাল উপহার হিসেবে ফলমূল এবং মিষ্টান্ন প্রেরণ করেন।
গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মো: আবু জাফর রাজু এবং সহকারী প্রেসসচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তার পক্ষ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে উপহারসামগ্রী হস্তান্তর করেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস এবং উৎসবে-যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনসহ এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তারা বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা তুলে ধরেন।
তারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের অদম্য সাহসিকতা, শরণার্থী হয়ে থাকার অভিজ্ঞতা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দিয়ে অপারেশন করার প্রশিক্ষণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তারা যুদ্ধের ময়দানে হারানো সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তারা উল্লেখ করেন যে দেশের আপামর জনসাধারণ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানিদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ ভালো থাকেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান, চিকিৎসা এবং আবাসনের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একদিন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ অর্থাৎ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যসহ উপস্থিত সবাই প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সিরিয়া যাচ্ছেন কাতারের প্রতিনিধিদল : কাতারের কূটনীতিক চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি ১১ মাস ধরে সারকারখানায় উৎপাদন বন্ধ, গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ এশিয়ান ওপেন তায়কোয়ানদোতে সিলভার পেলেন বগুড়ার রুফাইদা

সকল