সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যার কিছুটা উন্নতি, রংপুরে অবনতি
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২২ জুন ২০২৪, ০৩:১৮
বৃষ্টিবিহীন দিনে সূর্যের আলোয় সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের পানিবন্দীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। আর তাতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় উত্তর জনপদের জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পাঁচদিন পর গতকাল শুক্রবারের রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল স্বস্তি এনেছে সিলেট জেলার মানুষের মনে। ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নাজেহাল সিলেটে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬১ আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
আর নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ এলাকা এখনো পানির নিচে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গতকাল পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে, তবে বাড়ছে হাওর এলাকায়। এ জেলার ৬৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ২৩ হাজার ৮৪৯ জন। বন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন্যার পানিতে পড়ে জেলায় তিন শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক দিনের বন্যায় দুর্ভোগ আর দুর্দশায় পড়েছে এসব জেলার লাখো মানুষ। ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে চুরির ভয় আর গবাদিপশু নিয়ে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজকর্ম বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে তাদের। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
গতকাল সকাল ৯টায় সিলেট অঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন, সুরমা ও কুশিয়ারা এবং নেত্রকোনা অঞ্চলের সোমেশ্বরী ৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল। এর মধ্যে সাতটি পয়েন্টে পানি আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে উত্তরের তিস্তা নদী একটি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৩৬ সেন্টিমিটার।
সুনামগঞ্জ শহরে কমছে, হাওরে বাড়ছে পানি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জে পাঁচ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে পানি কিছুটা কমলেও শহরতলির আশপাশে অধিকাংশ এলাকায় বন্যা স্থিতিশীল রয়েছে। পৌর শহরের কিছু কিছু এলাকায় ময়লা পানির কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গতকাল শুক্রবার সূর্যের ঝিলিকে আশা সঞ্চার হয়েছে গৃহবন্দী লাখো মানুষের মনে। পৌর শহরের বেশ কিছু জায়গায় পানি কমলেও শহরতলির আশপাশে অধিকাংশ এলাকা নিমজ্জিত হয়ে আছে। এতে ঘরবন্দী লোকজন পড়েছেন বেকায়দায়।
বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকা দেখতে আসেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর এলাকা, উজানে ঢল হলে বৃষ্টি হলে বন্যা হবে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। তার পরও সরকারের পক্ষে যা কিছু প্রয়োজন বানভাসিদের জন্য করে যাচ্ছি। আমাদের নদীখননের বিশেষ প্রকল্প আছে, এর ফলে নদীতে পানির ধারণক্ষমতা বাড়লে গ্রাম প্লাবিত হবে না। বন্যার পানি সরে গেলে ভাঙা রাস্তাঘাট, বাঁধ মেরামত করে যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা হবে। সুরমা নদীর চলমান ড্রেজিং কাজ শুরু হবে।
এদিকে, বানের পানিতে ভেসে গেছে খামারের মাছ। আউশ, আমন, ইরির ধানী মাঠ পানির নিচে। নলকূপ নিমজ্জিত থাকায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন, মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বানভাসিদের। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
এর মধ্যে হাওর এলাকায় পানি বাড়ায় অন্তহীন দুর্ভোগে সুনামগঞ্জবাসী। আশ্রিত বানভাসিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অপর দিকে জামালগঞ্জে সুরমা নদীর পানি উপচে বাসা-বাড়ি- নিচু গ্রাম সড়ক প্লাবিত হয়েছে। জামালগঞ্জ খেয়াঘাট টু নয়াহালট পূর্বপাড়া সড়ক ভেঙে একই এলাকা দুই ভাগে বিভাজন হয়ে গেছে। এছাড়া জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের শাহাপুর বাঁধ পর্যন্ত পানি উপচে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাত্রী চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লোকজন। জেলা প্রশাসন পরিচালিত কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ইমন বলেন, ১২টি উপজেলায় ছয় লাখ লোক পানিবন্দী রয়েছেন। জেলার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৮ হাজার বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, সিলেট-সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক বন্যার কারণ ইটনা-মিঠামইন সড়ক, এ সড়ক নির্মাণে কোনো হাইড্রোলজিক্যাল সার্ভে হয়নি। বৃহদাকার কোনো প্রকল্প করার আগে নদীর পানিপ্রবাহ, পানির উৎস, বৃষ্টির পানি, হাওরের পানির ওপর এর কী প্রভাব পড়বে এসব সার্ভে করতে হয় উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুনামগঞ্জের হাজার হাজার লোকজন দাবি করছেন। বলা হচ্ছে, পর পর বন্যার প্রধান কারণ হচ্ছে ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ইটনা-মিঠামইন সড়কটি। যার প্রবল বাধার কারণে জেলার প্রধান নদী সুরমা কালনী ও কুশিয়ারার পানি মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হতে পারে না। এই সড়কের কারণে পানি আটকে গেলে তা পাস করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মিঠামইনে সড়কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নদীর পানি যাতে নিষ্কাশন হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। তবে চলতি বর্ষায় এটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে পরে পরিকল্পনা নেয়া হবে।
নেত্রকোনায় ৫ সহ্রাধিক পানিবন্দী
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা, মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি ও বারহাট্টা উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদের অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠতে পারলেও অধিকাংশরা এখনও উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। কয়েক শত গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর থৈ থৈ করছে। আকস্মিক এই বন্যায় সাধারণ লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চলতি বোরো মৌসুমে আশানুরূপ ধান পেয়ে হাওর পাড়ের লোকজন যখন উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন এই বন্যায় তাদের স্বপ্নসাধ মিলিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন, কৈলাটি, বড়খাপন, পোগলা, রংছাতি ও খারনৈ ইউনিয়নে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া নদীর তীরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা এখন হুমকির মুখে। বেড়িবাঁধসহ বাড়িঘর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার পাহাড়ি নদী উব্দাখালীর পানি এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কলমাকান্দার গনেশ^রী, মহাদেও, সুসং দুর্গাপুরের সোশে^রী, বারহাট্টা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যওয়া সোমেশ^রীর শাখা নদী কংশ, খালিয়াজুরির ধনুনদ, নেত্রকোনার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সগড়াসহ অন্যান্য নদীর পানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। কলমাকান্দা ইউনয়নের আটটি ইউনয়নের নি¤œ্াঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বানভাসি লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থান দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, বন্যার্তদের বিষয়ে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
কমলগঞ্জে ৪০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, কমলগঞ্জে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধলাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পানি বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কুমড়া কাঁপন এলাকায় হালকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে ৩০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। এতে সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুরে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি প্রবেশ করে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের ছয়কুট এলাকায় এবং আদমপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি-আধাকানি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ১২টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিপুরা ও আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বৃষ্টির পানি আবার সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ধলাই নদীতে পানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকার এবং রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দিয়েছে। ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে নারায়ণপুর, চৈতন্যগঞ্জ, বাঁধে উবাহাটা, খুশালপুর ছয়কুট, বড়চেগ, জগন্নাথপুর, প্রতাপী, গোপীনগর, আধকানী, কাঁঠালকান্দিসহ প্রায় ৪০টি গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। এদিকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধলাই নদীর সাথে সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের পানিশালা, চন্ডীপুর ও নছরতপুর এলাকায় বসতবাড়ি, ডাকবাংলো, কমলগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও বাজারে পানি প্রবেশ করেছে।
পীরগাছায় গর্ভবতী স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন
পীরগাছা (রংপুর) সংবাদদাতা জানান, পীরগাছা উপজেলার ৫ নম্বর ছাওলা ইউনিয়নের ৫-৭টি স্পটে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার জন্য কোনো ক্যানেল না থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এর ফলে স্থানীয় মাতৃকল্যাণ কেন্দ্রে মহিলাদের বাচ্চা ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, প্রায় এক থেকে সোয়া কিলোমিটার ক্যানেল তৈরি করা হলে এই জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব। মূলত পাওনাহাটের পানি বের হওয়ার জন্য কোনো ক্যানেল নাই। এর ফলে ৫-৭টি স্পটে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের যাতায়াতসহ মহিলাদের স্থানীয় মাতৃকল্যাণ কেন্দ্রে ডেলিভেরি করানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে ক্যানেল তৈরি করা হলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, চেয়ারম্যান আমাকে এই বিষয়ে কিছু বলেন নাই।