পরিমিত আম খান
- ১১ জুন ২০২৪, ০০:১৩
বাজারে মিলছে প্রচুর আম। থাকবে হয়তো কিছু দিন। তাই বেশি নয় অথবা কমও নয় পরিমিত অর্থাৎ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু আম নিয়মিত খান। আম যে শুধু তার স্বাদের জন্য অনন্য, তা নয়। এই ফলটি বিশেষ পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
পুষ্টিবিদরা বলেন, পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারটিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। তাই, কাঁচা আমের তুলনায় আঁশযুক্ত পাকা আম শরীরের জন্য বেশি ভালো।
তারা বলেন, ‘পাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশজাতীয় উপাদান পেকটিন থাকে, যা পাকস্থলিতে থাকা খাদ্যকে ভালোভাবে পরিপাক হতে সাহায্য করে।’ এ ছাড়া, আমের বিশেষ কিছু এনজাইম খাদ্য উপাদানের প্রোটিনকে ভালোভাবে ভেঙে ফেলতে কাজ করে। যা সামগ্রিকভাবে পরিপাক ক্রিয়ায় অবদান রাখে।
আমে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও অন্যান্য ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, আমে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
আমে প্রচুর বিচাক্যরটিন থাকায় এবং ভিটামিন এ, ই থাকায় আমাদের স্কিন খুব ভালো রাখে এবং এটি খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তিও ভালো থাকে। ‘ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে আম’, তিনি যোগ করেন। লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায়। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। দেহে নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
আমে থাকা পুষ্টি উপাদান খসখসে চামড়া, চুলপড়া, হজমের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একাধারে অতুলনীয় স্বাদ ও একাধিক পুষ্টিগুণের কারণেই একে ফলের রাজা বলা হয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ অনায়াসেই প্রতিদিন দু’টো আম খেতে পারেন। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা