বাজেটে রাঘববোয়ালদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে : ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জুন ২০২৪, ০১:০৩
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাজেটে রাঘববোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাঙালি জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
সিরাজুল আলম খানের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের যে চালিকা শক্তি সেখানে তিনি কাজ করেছেন। আমি ভিন্ন রাজনীতি করেছি, তিনি ভিন্ন রাজনীতি করেছেন; কিন্তু তার যে অবদান সেই অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না। যারা অস্বীকার করতে চায় তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, একটি দল একজন ব্যক্তির অবদান ছাড়া আর কারো কোনো অবদান স্বীকার কারতে চায় না। এর জন্য তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে অবলীলায় অস্বীকার করে। শুধু অস্বীকার করে না, তাদেরকে তারা ছোট করে কথা বলে। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকেও সহ্য করতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে পড়ে গেছে। যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে যারা বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন দূরে থাক, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে বহু দূরে বাংলাদেশকে ছিটকে ফেলে দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠী এখানকার মানুষের কল্যাণ করছে না। তারা মানুষকে শোষণ করছে, নির্যাতন করছে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একসাথে যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা, কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এবং এগুলোই আমাদের অর্জন করতে হবে।
১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, মাছ ধরতে আধার (টোপ) দিতে হয়। এটা সেরকম একটা ব্যবস্থা। এতে অন্তত টাকাটা উদ্ধার করা যাবে। এই বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হাস্যকর! আমরা দেখলাম টোপ দিয়ে আপনারা কাকে ধরেন। আপনারা নিজেরাই তো এর সাথে জড়িত। বাজেট দেখলে বুঝতে পারবেন রাঘববোয়ালদের লুটে খাওয়ার একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির প্রমুখ।