শিগগিরই রিজার্ভ চুরির চার্জশিট দেবে সিআইডি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
দুই-এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ও চার্জশিট আদালতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
গতকাল রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত অবৈধ অর্থ স্থানান্তর এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত গবেষণা ফলাফলের প্রচার ও দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আমরা মাদক নিয়ে অধিকতর তদন্ত শুরু করেছি। এরই মধ্যে যারা মাদক সেবন করে এবং যারা কারবারি তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থসম্পদ আছে সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। তাদের সম্পদের কোনোটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনোটা সিজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সিআইডির মানবপাচার তদন্ত সেল রয়েছে। সেটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এ সেলের একটি ব্র্যাঞ্চ বিমানবন্দরে রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিজেক্টেড হয়, রিপোর্ট করার সাথে সাথে তাদের সব ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এ ছাড়াও কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা দায়ের করে তা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিই।
তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার মালয়েশিয়া শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে বিমানবন্দরে আমরা যেটা দেখেছি তার বিষয়ে যদি সংক্ষুব্ধ কেউ মামলা করে তাহলে সিআইডি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা শুধু পাচার মামলা নয়, এর পাশাপাশি অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো বা অবৈধভাবে অর্থ আয় করে হস্তান্তর করেছে সেগুলো মানিলন্ডারিং আইনে মামলার আওতায় নিয়ে আসব।
গত এক বছরে কী পরিমাণ মানিলন্ডারিং হয়েছে? এমন প্রশ্নে সিআইডি প্রধান বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে তথ্য নেই। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারি, মানিলন্ডারিং রিলেটেড যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক উদ্ধার করেছি।