প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের আগে ফল প্রকাশ করা যাবে না
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:৫৬
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের আগে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশও বহাল রেখেছেন আদালত। একই সাথে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সিআইডির একজন কর্মকর্তাকে রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ।
একই সাথে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
একই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এ বিষয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, ১৪ জুন ২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) একটি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এই ঘটনায় জড়িত অনেককেই পুলিশ গ্রেফতার করে। অনেকগুলো পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পরও এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হয়নি। এরপরও ওই নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা চলছে। এটা তো একটা দুর্নীতি, দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এ রকম ঘটনায় কেউ তদন্তও করল না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা