১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

র্যাবের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলের ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

-

অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন এক নারীসহ ৫০ জলদস্যু। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর এসব জলদস্যুরা র্যাব-৭ এর তত্ত্বাবধানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের পতেঙ্গার র্যাব-৭ এর সদর দফতর মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো: শরীফ-উল-আলম জানান, শর্তহীনভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ এবং একজন মহিলা। এই ৫০ জনের মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু।
তিনি আরো জানান, জলদস্যুরা ৩৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শুটার গান, একটি দুইনলা বন্দুক, একটি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি বিদেশী পিস্তল, একটি এসএমজি ও দু’টি এয়ারগানসহ মোট ৯০টি অস্ত্র ও চারটি ওয়াকিটকি জমা দিয়েছে। এছাড়াও গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছে ২৮৩ রাউন্ড।
র্যাব জানায়, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের সক্রিয় জলদস্যু বাহিনীর নেতা ও সদস্য। এসব বাহিনীর সব অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সদলবলে আত্মসমর্পণের ফলে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলীয় অঞ্চলে দস্যুতায় নিয়োজিত অন্যান্য জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে দারুণভাবে উৎসাহিত হবে।
এদিকে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করছে। জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনো শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সব উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আব্দুল লতিফ, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।


আরো সংবাদ



premium cement