ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির নিন্দা প্রতিবাদ জামায়াতে ইসলামীর
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:০৫
আগামী ১ জুলাই থেকে ওয়াসার পানির দাম শতকরা ১০ ভাগ বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তকে অন্যায়, অযৌক্তিক এবং জনস্বার্থবিরোধী দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতে সরবরাহ করা ওয়াসার পানির দাম শতকরা ১০ ভাগ বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ওয়াসা আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করেছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগে ছিল ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ছিল ৪২ টাকা। এ সিদ্ধান্ত মিটারবিহীন হোল্ডিং গভীর নলকূপ, নির্মাণাধীন ভবন ও ন্যূনতম বিলসহ সব ধরনের অভিকরের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের নির্যাতিত-নিষ্পেষিত ও শোষিত জনগণের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এর শামিল। তিনি বলেন, সরকার চাল, ডাল, আটা, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে দেশের জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। এবার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের দুর্ভোগ আরেক ধাপ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৬-বার পানির দাম বৃদ্ধি করল। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি ও লুটপাট করে অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন দেশ চলতে পারছে না। তাই নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পানির দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের স্বৈরাচারী দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো দেশ চলতে পারে না।
জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ওয়াসার পানির দাম শতকরা ১০ ভাগ বাড়ানোর এ অন্যায়, অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের ১৯টি জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণের মধ্যেই নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়ালচাপা পড়ে সাইফুল ইসলাম হৃদয় ও খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর। এর আগে গত চার বছরে নালা ও খালে পড়ে আরো ৯ জনের মৃত্যু হলেও দায় নেয়নি কেউ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল চট্টগ্রামের ২০ শতাংশ গ্রাহক। অন্য দিকে, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে দুই দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরের মানুষের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হওয়ায় দোকানপাট, মানুষের বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে, নগরীর নিম্ন এলাকায় পানিবন্দী জনগণের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। তলিয়ে যায় চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুড়তলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, কালারপোল, বড়পোল, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে নগরবাসীর। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত জোয়ারের পানি উঠে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায় এতে পথচারী, ছাত্র-ছাত্রীসহ যানবাহ চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত নগরবাসীর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতৃবৃন্দ জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা,সচ্ছল দানশীল ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা