ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ মে ২০২৪, ০১:৫২
ঘূর্ণিঝড় রেমালে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। একই সাথে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রচণ্ডতা ও জোয়ারের পানি ফুলে উঠে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার লোক। সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫টি বাড়িঘর। প্রায় তিন কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একমাত্র বাগেরহাট জেলায় মাছের ২২ হাজার ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ১৫ হাজার মোবাইল ফোন টাওয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে লাখ লাখ লোক। সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কক্সবাজারের ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অসংখ্য জমির উঠতি ফসল নষ্ট হয়েছে। বিপুল পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-মহিষ-ছাগল পানিতে ভেসে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের প্রধান দায়িত্ব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সরকারের পাশাপাশি সচ্ছল ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উচিত দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আশা। দুর্গত মানুষের জন্য চাল-ডাল, চিঁড়া, মুড়ি, বিস্কুট, কাপড়, ওষুধসহ চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল টিম, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী, হাড়ি-পাতিল, গৃহনির্মাণ সামগ্রীসহ নগদ টাকা পাঠানো উচিত।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি ও তাদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এবং দেশের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, সাহায্য সংস্থা, সচ্ছল ব্যক্তি বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে মানবিক সাহায্য নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রমজীবীদের মধ্যে ছাতা বিতরণ
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির ও মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল সোমবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ছাতা বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানী, পৌর সেক্রেটারি মোক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ছাতা বিতরণকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও নিম্নচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি পড়ছে। এর ফলে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। এসব কৃষক, শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে আমরা ছাতা বিতরণ করছি। শুধু বৃষ্টি বা বন্যা নয় বরং যেকোনো দুর্যোগ ও বিপদ-মুসিবতে আমরা চাঁপাই-নবাবগঞ্জের মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশা আল্লাহ।
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি সরকারের অব্যবস্থাপনায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সরকারদলীয় লোকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে নাই। ফলে এ দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে বরাবরই জনগণের যেকোনো বিপদ-আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। তাই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।
বাউফলে কৃষক-শ্রমিকদের মধ্যে ছাতা বিতরণ
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ গতকাল মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যা উপদ্রুত অঞ্চল পটুয়াখালীর বাউফলে কৃষক, শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা উপহার প্রদান করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, উপজেলা আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুদ দাইয়্যান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ওলামায়ে কেরাম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
ছাতা উপহার প্রদানকালে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল-পরবর্তী অতি বৃষ্টির মধ্যে বাউফলের কৃষক, শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের হাতে ছাতা তুলে দিয়ে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে সহযোগী হতে পেরে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহর সাহায্যে আমরা সব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে বাউফলের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো ইনশা আল্লাহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা