১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সমাজ পরিবর্তনে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প ইেন : রফিকুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের লিডারশিপ ট্রেনিং কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান : নয়া দিগন্ত -


জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তনে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের ভিশন’৪৮ বাস্তবায়নে স্থানীয় নেতৃত্বকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তাদের জীবদ্দশায় সংগঠন পরিচালনায় যে অনন্য নজির রেখে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে আমাদের জন্য আলোকবর্ষ হয়ে থাকবে। দুর্নীতি যখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে সেই অবস্থাতেও দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জামায়াত নেতারা মন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রের সম্পদের আমানতদারিতার বিরল নজির স্থাপন করেছে। তাই আমাদের সাহাবায়ে কেরামের চরিত্র ও শহীদদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে লিডারশীপ ট্রেনিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: ইজ্জত উল্লাহ। আরো বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো: শামছুর রহমান। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একদল সৎ ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। আজকের এই লিডারশীপ ট্রেনিং কর্মশালা সেই যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির একটা অংশ। প্রত্যাশিত ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য আপনাদের আল্লাহর ওপর ভরসা করে সাহসিকতার সাথে ময়দানে তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। রাজধানী একটি রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র। যারা রাজধানীতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে পারে তারাই দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুরো জাতিকে নেতৃত্ব দেয়। তাই ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাদের রাজধানীকে উত্তমভাবে আবাদ করতে হবে। এখানে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে হবে। নিজেদের যোগ্যতার সর্বোচ্চ উজাড় করে আন্দোলনকে বিজয়ী করার জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জাতির বৃহৎ স্বার্থে আমাদের গণমুখী নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প নেই। জামায়াত একটি গণমুখী কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন। এই আদর্শভিত্তিক আন্দোলনে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতা গ্রহণ লক্ষ্য নয় বরং লক্ষ্য একটাই- আদর্শের বিজয়, দ্বীন ইসলামের বিজয়। একই সাথে এই আন্দোলন গণমুখী আন্দোলন। এর জাগতিক লক্ষ্য দুনিয়ার সর্বস্তরের জনমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করে আখেরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।


আরো সংবাদ



premium cement
আর কোনো শহীদের লাশ উত্তোলন করতে দেয়া হবে না : সারজিস আলম রোববার থেকে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি

সকল