১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশী খাবারের রেস্তোরাঁ

-

মালয়েশিয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশী খাবারের রেস্টুরেন্ট ও বাংলাদেশী পণ্যের মিনি মার্কেট । দেশটিতে এখন ১.৫ মিলিয়ন বাংলাদেশী প্রবাসীদের বসবাস। তাদের চাহিদার ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার শহর থেকে গ্রামে গড়ে উঠছে দেশীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট ও বাংলাদেশী পণ্যের পসার মিনি বা মুদি দোকান। এতে করে বিদেশের মাটিতে বসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেমন ঘরোয়া খাবার খেতে পারছেন তেমনি এসব প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ বাংলাদেশী কর্মীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে প্রবাসীদের বাড়তি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ। দূতাবাস ও বাংলা কমিউনিটির অনুষ্ঠানে এখন সরবরাহ হচ্ছে দেশীয় খাবার।
মালয়েশিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে ধর্ম বর্ণ এক হলেও খাবার-দাবার ও ভোজন বিলাসে রয়েছে বিস্তর ফারাক এবং ভিন্নতা। বাংলাদেশীরা বাহারি মসলায় স্পাইসি কারি খাবারে অভ্যস্ত হলেও মালয়েশিয়ানরা মসলা ও কারি খুবই কম খান। তাদের রন্ধনশিল্প ইন্দোনেশিয়া ও চায়নিজ ঘরানার। তাই প্রবাসীরা এসব খাবারে অভ্যস্ত হতে না পেরে তাদের ভরসা দেশীয় খাবার। দেশটিতে বছরে লক্ষাধিক বাংলাদেশী পর্যটক আসেন। পর্যটক আর শ্রমিকরা দেশটিতে এসেই মালয় খাবার খেতে পারেন না। তাদের চাহিদার ভিত্তিতে এখন হাজার হাজার বাংলা রেস্তোরাঁ ও মিনি মার্কেট গড়ে উঠছে। একটা সময় দেশীয় খাবার ও মাছ, তরকারি ঢাকা থেকে আমদানি করা হলেও এখন মালয়েশিয়ায় স্থানীয় ভাবে চাষ করে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রবাসে এ খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে। কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে ১০টি মিনি মার্কেট ও একাধিক রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম।
আজ থেকে এক যুগ আগেও মালয়েশিয়ায় কোনো বাংলাদেশী খাবারের রেস্টুরেন্টে ও দেশীয় পণ্যের বাজার ছিল না। প্রবাসীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে মালয়েশিয়ার ১৩ রাজ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এসব বাংলাদেশী পণ্য সরবরাহ করার জন্য মালয়েশিয়া প্রতিটি রাজ্যে দেশীয় সব শাকসবজির চাষাবাদ, মাছের ও গরুর খামার স্থাপন করছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। আর এসব দেশীয় খাবারে রসনার তৃপ্তি মেটাতে গড়ে উঠেছে শত শত রেস্তোরাঁ যেগুলো বাংলাদেশীরা পরিচালনা করছেন। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীকর্মীরা বলেন তাদের সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এক টানা কাজ করতে হয়। কাজ শেষে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খেতে হয় প্রবাসে। দেশীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট থাকার ফলে প্রবাসীদের সময় বাঁচে। প্রবাসীদের পাশাপাশি মালয়েশিয়ানদের মধ্যেও বাংলা খাবার জনপ্রিয় হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় দেশটির কাজাং সেমুনিয়া এলাকায় মো: জহিরুল ইসলাম এর ১০তম ব্রাঞ্চ জাইম অ্যান্ড জাফির রেস্টুরেন্ট এবং পাছার মিনি মার্কেট উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী মাহবুব মাওলা, মোহাম্মদ খোকন, বাদল হোসাইন, মিজানুর রাহমান। মালয়েশিয়ান বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দাঁতিন এস নিছা বিবি, রুস লিনডা বিনতে শাফি, খাইরুল নিনা বিনতে অতমা, দাতোক আব্দুল রাজ্জাক, ডক্টর জাহিরিনা, হাজী ডিজুল, দাতোক জামাল উদ্দিন বিন মোহাম্মাদসহ শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী।

 


আরো সংবাদ



premium cement