১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্ষমতায় গেলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা ব্রিটিশ নেতার

-

যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় নেতা কিয়ার স্টারমার। শুক্রবার বিবিসির কাছে তিনি এ কথা বলেছেন। বিবিসি তরফ থেকে স্টারমারের কাছে জানতে চাওয়া হয় ফিলিস্তিনের একটি রাষ্ট্র হওয়া উচিত কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি মনে করি। আমি মনে করি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরাইলের পাশাপাশি একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রয়োজন। স্বীকৃতি প্রদানটা এ কার্যক্রমের অংশ হতে হবে। রয়টার্স।
তিনি বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় সঠিক সময়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি এ অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য। এ দিকে গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে জানিয়েছে তারা মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিকে স্বীকৃতি দিবে। চলতি মাসের ২৮ তারিখেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এ তিন দেশ। বুধবার স্পেন ও নরওয়ে জানায় যে তারা বিশ্বাস করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ বিষয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, আমরা অনেক কারণেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে- তা হলো শান্তি, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সব পক্ষকে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান মেনে সঙ্ঘাত নিরসনে আন্তরিক হতে হবে। চলমান যুদ্ধ বন্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার ওপরও জোর দেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।
তথ্য অনুসারে, জাতিসঙ্ঘের ১৪৩টি সদস্য দেশ ফিলিস্তনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বেড়েছে স্বীকৃতি দেয়ার এ প্রবণতা। তবে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলে আসলেও এখনো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement