বিদ্যুৎ লাইন ঘেঁষে ভবন নির্মাণ, প্রাণ গেল শ্রমিকের
- বড়লেখা (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২৫ মে ২০২৪, ০২:০৫
বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেঁষে প্রবাসীর ভবন নির্মাণের খেসারত দিল নির্মাণশ্রমিক লিলন মিয়া (২৩)। মেইন লাইনের পাশে ভবনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাধবকুণ্ড পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন রুকনপুর (বড়খলা) গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎ গ্রাহক কাতার প্রবাসী রাসেদ আহমদের বাড়িতে। নিহত লিলন মিয়া উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। রাতেই হাসপাতাল থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ নিহতের লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, কাতার প্রবাসী রাসেদ আহমদ পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেঁষে দোতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে ঠিকাদার আব্দুল করিম তিন/চারজন রাজমিস্ত্রি ও নির্মাণশ্রমিক নিয়ে কাজ করছিলেন। ভবনের ছাদের একপাশের উপর দিয়ে গেছে পল্লীবিদ্যুতের এসটি লাইন। বিকেলের দিকে নির্মাণশ্রমিক লিলন মিয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালিত ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশে কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দোতলার উপর থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেøক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার ও থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।
প্রবাসীর স্ত্রী ইপা বেগম জানান, ভবনের ফাউন্ডেশন কাজের সময় ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দরখাস্ত করেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৭২৫ টাকা আবেদন ফি জমা দেন। এরপর অনেক দৌড়ঝাঁপ দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি। ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার আব্দুল করিমকে ঝুঁকিপূর্ণ সাইটে কাজ না করতে বলি; কিন্তু তিনি বাধা-নিষেধ না মেনেই একজন মিস্ত্রিকে দিয়ে ওই পাশে কাজ করানোকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, বড়লেখার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হাইভোল্টেজ লাইন রয়েছে। অনেকের বসতঘরের টিনের চালের উপর, ঘরের দেয়াল এমনকি হাতে ছোঁয়া দূরত্বে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। গত ২৫ মার্চ জুড়ীতে টিনের চালে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি এসব মরণফাঁদ বিদ্যুৎ লাইন নিরাপদ করতে কার্যকর উদ্যোগই নেয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা