২৫ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
সম্প্রতি ভারতের শোবিজ তারকা ও জনহিতৈষী সোনু সুদের একটি খবর শিরোনাম হয়েছে। একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে ভারতীয় মুদ্রায় ১৭ কোটি রুপির এক ডোজ ইঞ্জেকশন জোগাড় করে দিয়েছেন তিনি। এই অর্থের কিছু নিজে দিয়েছেন, বাকি টাকা সংগ্রহ করেছেন মানুষের কাছ থেকে।
এই ইঞ্জেকশনের নাম জোলজেনসমা। এটি মেরুদণ্ডের রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফির (এসএমএ) চিকিৎসায় শিরায় প্রয়োগ করা হয়। অবশ্য এসএমএ রোগে আক্রান্ত দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য শুধু এই ইঞ্জেকশন কাজ করে। এটি একটি এককালীন জিন থেরাপি। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধগুলোর মধ্যে এটি একটি।
জোলজেনসমা ইঞ্জেকশনের উদ্ভাবক মার্কিন জৈব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এভেক্সিস (ধাবীরং)। ২০২০ সালে এটি কিনে নেয় সুইজারথল্যান্ডের ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস (ঘড়াধৎঃরং)। তখন থেকে এভেক্সিসের নাম হয়ে যায় নোভার্টিস জিন থেরাপিস।
জোলজেনসমা ইঞ্জেকশনের একমাত্র ব্যবহার বিরল জিনগত রোগ এসএমএর চিকিৎসায়। ধারণা করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক এসএমএ রোগে আক্রান্ত।
২০১৯ সালে জোলজেনসমা ইঞ্জেকশন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ। এক ডোজ ইঞ্জেকশনের দাম ছিল ২১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৪ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বেশি। ভারতে এটির দাম পড়ে প্রায় ১৭ কোটি রুপি। নোভারটিসের ওয়েবসাইট অনুসারে, ওষুধটি ৪৫টি দেশে অনুমোদিত। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশুকে এই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা