যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটার ওপর স্থিতাবস্থা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পে গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
একই সাথে আদালত উল্লেখ করেন ছয় লেন সড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে ওই স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল হবে।
সাম্প্রতিক তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত ৫ মে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত ৭ মে আদালত রুল জারি করেন এবং স্থিতাবস্থার বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ মে তারিখ ধার্য রাখেন। পরবর্তী সময়ে ১২, ১৩ এবং ১৯ মে আবেদনের ওপরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এইচআরপিবির পক্ষে একটি সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিট দাখিল করে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কোনো টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও রাস্তার দু’পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। তিনি আদালতে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। তিনি আদালতে আরো বলেন, গাছগুলো সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের রাস্তার কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।
শুনানিতে সরকার পক্ষে আদালতে দাবি করা হয় যে, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনো আইন দেশে নেই এবং গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়নকাজ ব্যাহত হবে। তার বিপরীতে অ্যাডভোকেট মোরসেদ বলেন, মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ২০৩০ সালে তাপদাহে অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘি্নত হবে।
এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন আইনজীবী মো: ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো: এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিপন।
বাদিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি বিপুল বাগমার এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম জহিরুল ইসলাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা