১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য দেয়ার জন্য তিনজন মুখপাত্র রয়েছে : ডেপুটি গভর্নর

-


বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্র্নর খুরশিদ আলম বলেছেন, এবার বাজেট হচ্ছে আট লাখ কোটি টাকার। বাজেট তো আর এমনি এমনি হয় না। মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। পদ্মা সেতু করেছি আমরা। অপপ্রচারকে আপনারা কেউ পাত্তা দেবেন না। আপনারা ডাটাবেইজ নিয়ে কথা বলবেন। রেমিট্যান্স আবার ব্যাক করছে, বাড়ছে। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। কোথায় আমাদের সমস্যা? তবে উদীয়মান অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। শ্রীলঙ্কা কোথায় গিয়েছিল। আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরের চেয়ে পাঁচ গুণ বড় আমাদের অর্থনীতি। নেপালের থেকে সাত গুণ বড়, ভুটানের চেয়েও বড়। আমরা দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। খেলাপি ঋণের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি। গতকাল শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার মিলনায়তনে গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

খুরশিদ আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধকে বলল ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য দেয়ার জন্য তিন-তিনজন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছি। আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে ১০০ বার যাবেন। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নেই। এখানে তিনজন মুখপাত্র আছে, তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার জায়গা আছে, চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই না করতে পারে আমরা চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি। আমরা আপনাকে উত্তর দেবো। তারপরও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ। অবাধ বলতে কী বুঝায়? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনো কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে, যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ট। পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। তাহলে আপনি বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমি তো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনো কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নূরুল আমিন ও রুহুল আমিন, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক লিজা ফাহমিদা ও শায়েমা ইসলাম এবং ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এফআইসিএসডি স্ট্রাটেজিক কম্যুনিকেশন টিমের প্রধান অতিরিক্ত পরিচালক মাহেনুর আলম। দিনব্যাপী ওই আয়োজনে অতিথিদের বক্তব্যের পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কর্মসূচিকে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া। সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত।


আরো সংবাদ



premium cement