পাটপণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক তুলে নিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ মন্ত্রীর

পাটপণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক তুলে নিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ করেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: নুরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর পবন বাধে, প্রথম সচিব প্রতীক নেগি উপস্থিত ছিলেন।
সৌজান্য সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী রেশম শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ড রেশম পণ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে পারে। এ সময় তিনটি পাটকলে বিনিয়োগ করতেও ভারত আগ্রহী বলে জানান মন্ত্রী। সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের পাটের অ্যান্টি ডাম্পিং বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পর দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, আলোচনা ফলপ্রসূ আসবে।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নানক বলেন, এই বর্জন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কোনো সুযোগ নেই। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের কাছে তাদের অগ্রাধিকার সবসময়ই থাকবে। ভারতে যদি কোনো পণ্যের দাম কম হয়, মানুষ সেটা কিনবেই, এটা স্বাভাবিক। ভারত থেকে আনার পর যদি আমাদের দেশে সবজির দাম কম হয়, মানুষ তো সেটাই কিনবে। ব্যবসায়িক সম্পর্কের সাথে রাজনীতি চলে না। এ ধরনের প্রচারণায় বিএনপি সফল হবে না। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সরকারের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এসেছেন। ডোনাল্ড লু এসেছেন ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনায় সরকারের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরকারের সম্পর্ক বরাবরই ভালো।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হাইকমিশনারের সাথে আলোচনা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে যাতে বাংলাদেশীরা ভিসা পান, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরব ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ দীর্ঘ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভারতের নির্বাচনের পর এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।