শ্রবণশক্তি পেল জন্মগত বধির
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০২:০৮
পৃথিবীতে প্রথম জিন থেরাপির মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছে এক জন্মগত বধির শিশু। এটি বধিরতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া ওই শিশুর নাম ওপাল স্যান্ডি। সে শ্রবণীয় স্নায়ুরোগের কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। শ্রবণীয় স্নায়ুরোগ এমন একটি অবস্থা যা অভ্যন্তরীণ কান থেকে মস্তিষ্কে গমনীয় স্নায়ু আবেগকে ব্যাহত করে। ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু ১৬ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর ১৮ মাস বয়সী ওই শিশু প্রায় পুরোপুরি শুনতে পায় এবং খেলনা ড্রামের সঙ্গে খেলা উপভোগ করে। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির কানে কার্যকরী জিন স্থাপন করা হয়। সন্তান শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার পর তার মা-বাবা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। ওপালের মা জো স্যান্ডি বলেন, ‘আমি সত্যিই এটি বিশ্বাস করতে পারিনি। এটা অবিশ্বাস্য।’ অক্সফোর্ডশায়ারের মেয়ে শিশুটিকে অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। এটি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের অংশ, যারা কর্ড ট্রায়াল চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বধির শিশুদের ট্রায়ালে নিয়োগ করা হচ্ছে এবং তাদের পাঁচ বছর ধরে অনুসরণ করা হবে। ট্রাস্টের কানের চিকিৎসক এবং অস্ত্রোপচারের প্রধান তদারক অধ্যাপক মনোহর বানস বলেন, ‘প্রাথমিক ফলাফল আমার আশা বা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এবং এই পদ্ধতি এই ধরনের বধির রোগীদের নিরাময় করতে পারে। ওপালের কাছ থেকে পাওয়া থেকে ফলাফল বিস্ময়কর। এটি স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধারের কাছাকাছি। তাই আমরা আশা করি, এটি একটি সম্ভাব্য নিরাময় হতে পারে।’
অধ্যাপক মনোহর বানস আরো বলেন, ‘এখানে অনেক কাজ হয়েছে, কয়েক দশকের কাজ। অবশেষে এমন কিছু পেলাম যা আসলে মানুষের মধ্যে কাজ করে। এটা ছিল বেশ দর্শনীয় এবং সত্যিই আশ্চর্যজনক।’ ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা