১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বিদেশে পাঠিয়ে প্রতারণা

কাজ না পেয়ে কষ্টে দিন কাটছে ছেলের, দেশে বাবার আকুতি

-


বাবা রিকশা চালক, ছেলেও দেশে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসারের সুখের জন্য সৌদি পাড়ি জমান। দালালের কথা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ইকামা না দেয়ায় কোনো কাজ না পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ছেলে। একদিকে দুঃসহ জীবন কাটছে ছেলে ফোরকানের। অন্য দিকে লোনের টাকাও দিতে না পেরে সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন বাবা।
অপর এক প্রবাসী সুমন, বাবা শাহ আলম মাইকে প্রচার করে সংসার চালাতেন। সংসারের সুখের জন্য ছেলে সুমনকে বিদেশে পাঠান আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু বিদেশ নিয়ে কাজ না দেয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে পাঠানো সৌদিতে থাকা ৬ প্রবাসীর অভিভাবক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন আকুতি ও অভিযোগ জানান। এ সময় আকামা না পেয়ে জেল খেটে সদ্য ফিরে আসা মিজানুর রহমানসহ ছয় পরিবারের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। এমন অবস্থায় ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেন প্রেস ক্লাবে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা লিখিত অভিযোগ জানান, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো: সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিকমতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছেন তারা। ঠিকমতো খেতেও পারছেন না তারা। অনেক লোন এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে তাদের। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক ওখানে নিজেরাই খেতে পারছেন না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ ছেলে বড় কষ্টে আছে।
সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারণে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে জলিলকে জানালে তিনি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিবো না।
তিনি আরো বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাকমতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সব কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement