রামুতে গরু পাচারকারী ও ডাকাতদলের গোলাগুলি নিহত ১ আহত ১
- ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) সংবাদদাতা
- ১০ মে ২০২৪, ০০:০০
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গরু পাচারকারী ও ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিতে আহত হয়েছে আরো একজন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার গর্জনিয়া ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার গহিন বনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম (৪৮) রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। তিনি গরু টানা পার্টির সদস্য (গরু পাচারে যুক্ত শ্রমিক) বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাবুল জানান, রাতের আঁধারে গরু পাচারের সময় ডাকাত দল আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করে। প্রথমে ওই স্থানে গরু পাচারকারীরা ডাকাত দলের আক্রমণের শিকার হন। ওইসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হলে আবুল কাশেম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
তিনি আরো জানান, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে এ ইউনিয়নে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। এতে তিনিসহ পুরো ইউনিয়নের জনসাধারণ আতঙ্কে আছেন। আমি বারবার দাবি জানিয়ে এলেও বৃহৎ এ ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত ডিউটি করেন না। ফলে অপরাধীরা নির্বিঘে্ণ চুরি, ডাকাতি, হত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় মনির আহমদ (৪০) নামে গরু টানা পার্টির আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তারা শুনেছেন। আহত মনির গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুমছড়ি গ্রামের মৃত মদন আলীর ছেলে। তাকে গতকাল সকালে সিএনজি অটোরিকশায় কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়া দিগন্তকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলছে। এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত অপরজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, রামুতে এর ১৮ দিন আগে (২১ এপ্রিলর) গরু পাচারকে কেন্দ্র করে দুপরে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে বাবা-ছেলে প্রাণ হারান। গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইঙ্গাকাটা মৌলভীরঘোনা এলাকায় সংগঠিত ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন- থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।