ইমরানের স্ত্রীকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৯ মে ২০২৪, ০০:৪৬
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের স্ত্রী বুশরা বিবির গৃহবন্দী দশা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন মঞ্জুর করেছে দেশটির আদালত। বুধবার আদালত ওই আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে বুশরা বিবির আইনজীবী জানিয়েছেন। রয়টার্স ও এআরওয়াই নিউজ।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে করা আবেদনে বুশরা বিবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং বাড়ির কারাকক্ষে দূষিত খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি ও তার আইনজীবীরা বলেছেন, তার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনী ও কারাগারের পুরুষ কর্মীদের উপস্থিতি বেশি। এতে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে দেশটির কারাগারের কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহারসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বুশরা ও ইমরান দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। এর পর থেকে ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবনের একটি কক্ষে বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ইসলামাবাদের প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা আফহাল আহমাদ বলেছেন, আইনজীবীদের মাধ্যমে বুশরা বিবি তাকে কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুরের কিছুক্ষণ পরই তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
আদালত বুশরা বিবিকে রাওয়াল পিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। বুশরা বিবির স্বামী ও ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে ওই কারাগারে ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন। এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িত একটি পক্ষের সাথে কোনো চুক্তির জন্য আলোচনা করা সম্ভব নয়।
গত বছরের ৯ মে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকরা দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা ওই সময় দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ করে। এই সহিংসতার কথা উল্লেখ করে মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, হামলা জড়িতরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে কোনো আলোচনা হবে না।
তবে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আসাদ কায়সার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াইকে বলেছেন, কোনো ধরনের ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়। দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইমরান খানের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা