মোবাইল ফোনের অব্যবহৃত ব্যালেন্স কেটে নিলে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ পলকের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ মে ২০২৪, ০০:৪৫
গ্রাহকের অজান্তে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ বা ব্যালেন্স কোনো মোবাইল অপারেটর বা কোম্পানি যাতে কেটে না নিতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিটিআরসিকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ছাড়াও বিটিআরসির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা এবং সব নাগরিকের তথ্য ও নেটওয়ার্ক সুরক্ষার জন্য নিয়মিত ফাইন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি এক্সটার্নাল আইটি অডিট নিশ্চিত করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিটিআরসি মিলনায়তনে টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে বিটিআরসিকে প্রতিমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার এবং মহাপরিচালকরা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত একজন গ্রাহকের অভিযোগ আমলে নিয়ে খিলগাঁও বিটিসিএল অফিসের ডিএমডিকে ফোন করেন। তিনি তিন ঘণ্টার মধ্যে সংযোগ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো অবৈধ প্রভাব খাটাতে পারবে না। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবো।
সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সম্পর্কে গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাই না। আপনাদের অভিযোগ ও পরামর্শগুলো শুনে কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বিটিআরসির রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে রূপকল্প আমাদের সামনে দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নের জন্য প্রো-পিপল এবং সিটিজেন-সেন্ট্রিক সার্ভিস আমরা বিটিআরসির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় দেশের সবার কাছে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া, ছাত্রছাত্রীদেরকে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং ডিজিটাল সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাসহ প্রযুক্তিশিল্পের বিকাশের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মূল স্তম্ভ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অবদান রয়েছে। বিটিআরসি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইনকে বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আধুনিক ও ভবিষ্যৎমুখী আইন হিসেবে প্রণয়ন করার কথা বলেন।