১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বোরো ধান-চাল সংগ্রহ শুরু চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত

-

চলতি বোরো মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহের সময় কৃষককে হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের নিজ দফতর থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সাথে যুক্ত হয়ে চলতি মৌসুমের ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। গতকাল থেকে শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তবে, জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। কৃষকদের হয়রানি করলে টেলিফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। এর আগে (২১ এপ্রিল) আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করেছি। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একই সাথে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওরে বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষকদের যেন হয়রানি না হয় সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেয়া হয়েছে। যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধানটা পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরো শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক হয়রানি যেন না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরো ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেয়া জন্য। তিনি বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন তিনি আরো বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সাথে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা। মন্ত্রী বলেন, গত বছর আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি, এবারো লক্ষ্যমাত্রা পার হবে বলে আশা করছি। চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত ও দাম লেখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা চলছে বলেও জানিয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যসচিব মো: ইসমাইল হোসেন জানান, সামগ্রিকভাবে সারা দেশে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার কোটি টাকার বোরো ধান-চাল কেনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement