কক্সবাজারে র্যাব ও সন্ত্রাসী গুলিবিনিময়ে কৃষক নিহত
গুলিবিদ্ধ ৩ জন- কক্সবাজার অফিস
- ০১ মে ২০২৪, ০২:২৪
কক্সবাজার সদর উপজেলায় অপহৃত এক এনজিও কর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে র্যাবের সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া র্যাবের এক সদস্যসহ তিনজন আহত হন। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ ফরহাদ ওরফে শেরে ফরহাদকে একটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে।
গত সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের মুরাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
নিহত মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ (৪৫) ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার মৃত ছৈয়দুল হকের ছেলে। আহতরা হলেন, র্যাবের এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে শফিউল্লাহ (৪০) ও একই এলাকার বদরুল হক মিয়ার ছেলে মো: সায়মান (২০)।
গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ ফরহাদ ওরফে শেরে ফরহাদ ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। তার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও জবরদখলসহ নানা অভিযোগে ৭টির বেশী মামলা রয়েছে। অপহৃত ভুক্তভোগী মো: মাসুদ চৌধুরী (৩৫) বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর ঈদগাঁও শাখার মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। সোমবার রাত ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল গেটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লেঃ কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের মুরাপাড়ায় এনজিও কর্মকর্তা মাসুদ চৌধুরী ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে যান। এ সময় ফরহাদের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মুরাপাড়াসংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে। সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানার পর র্যাবের একটি দল রাতে এনজিও কর্মকর্তাকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। অভিযানে র্যাবের পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীও অংশগ্রহণ করে। একপর্যায়ে পাহাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানাটি ঘিরে ফেললে তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে র্যাবের এক সদস্যসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোলাগুলির ঘটনার খবরে র্যাবের অতিরিক্ত সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে পাহাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ ফরহাদকে একটি শর্টগানসহ গ্রেফতার করা হয়। সে এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে ঘটনাস্থল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় এনজিও কর্মকর্তা মাসুদ চৌধুরীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। সাজ্জাদ জানান, ঘটনায় জড়িত অপর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা