ঘানুশির প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৯
তিউনিসিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আল নাহদার প্রধান ও দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা রশিদ ঘানুশিকে গ্রেফতারের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে তার কারাদণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৮২ বছর বয়সী এই বন্দীকে এখন ‘আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো বিবেকের বন্দী’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। আলজাজিরা।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ রাশিদ ঘানুশি বলেছে, এই কমিটিতে ‘বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক, নারী এবং বুদ্ধিজীবীরা রয়েছেন যারা কারাবন্দী আল নাহদা পার্টির নেতা ও তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকারের মুক্তির জন্য কাজ করছেন।
কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাশিদ ঘানুশিকে ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে রমজানের ২৭তম রাতে তার বয়স বা অবস্থানের কথা বিবেচনা না করে অন্যায়ভাবে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছিল।’
কমিটি বলেছে, ‘তার অপরাধ কী ছিল? বিরোধী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট আয়োজিত একটি সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি ২৫ জুলাই, ২০২১ সাল থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান স্থগিত করা এবং সংবিধানের অবৈধ স্থগিতাদেশের সমালোচনা করেছিলেন’।
২০১৯ সালে নির্বাচিত তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সোচ্চার সমালোচক ঘানুশিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিতকরণের অন্যতম ধাপ পূরণ করেন। দমন-পীড়ন ও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার শাসনকে প্রসারিত করেছেন। সরকারি তিউনিস আফ্রিকা প্রেস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে বিদেশী তহবিল পাওয়ার অভিযোগে ঘানুশিকে তিউনিসিয়ার আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে ‘ক্ষমতা দখল এবং সমালোচক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে ঢোকানো এবং দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণœ করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
সমালোচকদের মতে তিউনিসিয়া কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১১ সালের দীর্ঘ সময়ের স্বৈরশাসক জাইনুল আবিদিন বিন আলীর বিরুদ্ধে আন্দোলন ‘আরব বসন্তের’ একটি গুরুত্বপূর্ণ শুরু হিসাবে বিবেচিত ছিল।