১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চট্টগ্রামের ঈদবাজার

সাধ সাধ্যের মধ্যে নেই

-


আকাশছোঁয়া জামা কাপড়ের দাম। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে প্রায় সব রকমের পোশাক। তাই বিকিকিনিও কম। মার্কেটে গিয়ে বাজার না করেই খালি হাতে ফিরে আসছেন অনেক ক্রেতা। সাধ সাধ্যের মিল হচ্ছে না চট্টগ্রামের ঈদবাজারে। তাই অস্থির সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারাও। বেশ কয়েকটি মার্কেটের বিক্রেতারা জানান, ক্রেতা বেশি, বিক্রি কম। কারণ হিসাবে বলেছেন, পোশাকের দরদাম বেশি। চট্টগ্রামের ক্রেতাদের একই অভিযোগ, আকাশছোঁয়া দামের কারণে তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে সাহস পাচ্ছেন না।

ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কেটে ভিড় বেড়েছে। তবে তেমন বিক্রি নেই। দাম শুনে, ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন, দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন। যেসব মার্কেটে পোশাকের দাম তুলনামূলক কম সেখানে ক্রেতারা ভিড় করছেন বেশি। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদবাজার পরিস্থিতি হতাশাব্যঞ্জক হলেও ব্যবসায়ীরা হাল ছেড়ে দেননি। তারা আশা করছেন, শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়বে। নগরীর লালখান বাজারের আমিন সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, শিশুদের পোশাক কিনতেই দোকানগুলোতে বেশি ভিড়। পাশাপাশি মেয়েদের পোশাক ও মহিলাদের শাড়ি কেনার ভিড়ও কম নেই। মেয়েদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে এক থেকে ছয় হাজার টাকায়। কারচুপির কাজের একেকটি থ্রি-পিসের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সন্ধ্যার পরে এ মার্কেটে ক্রেতার ভিড় বাড়ে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

অভিজাত শ্রেণীর মার্কেট হিসেবে পরিচিত মিমি সুপার মার্কেট ও স্যানমার ওশান সিটিতে দিনে তেমন ভিড় না থাকলেও ইফতারের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে দোকান মালিকরা জানান, ক্রেতারা এলেও বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলক কম। স্যানমারের নিচতলায় রয়েছে ছেলেদের পোশাকের অসংখ্য শোরুম। এসব শোরুমে ৯০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে শার্ট এবং রয়েছে জিন্স প্যান্ট। এসব শোরুম ঘুরে ক্রেতা আরিফ আহমেদ জানান, ঈদ উপলক্ষে অনেকগুলো আইটেমের দাম ইতোমধ্যে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিউমার্কেট ঘুরেও তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর রমজানের এ সময়ে প্রতিদিন বেচাকেনা হয়েছে আট থেকে থেকে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এ বছর একই সময়ে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন লাখ টাকা। নিচতলায় ছেলেদের শার্ট ও প্যান্টের কালেকশন রয়েছে এমন দোকানের মধ্যে ক্যাটস আই, রেভলন, মুনসুন রেইন, হ্যান্ডি বাজার, খাকি, শৈল্পিকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে তরুণদের ভিড় দেখা গেলেও অতিরিক্ত দামের কারণে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।

থান কাপড় ব্যবসার জন্য দেশের বৃহত্তম পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা কেন্দ্র টেরিবাজারের বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা দেখা গেছে। তুলনামূলক কম দাম, নতুন ও ভালো মানের পোশাক কিনতে এখানে সকাল সন্ধ্যা ক্রেতারা ভিড় করেন।
মধ্যবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে কিছুটা কম দামের কারণে এখানে নগরী ছাড়াও আশপাশের উপজেলার ক্রেতারা ভিড় করেন। শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করতে আসা শেলি আকতার জানান, ‘গত বছরের চেয়ে এবার সব আইটেমেরই দাম বেশি। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। তারওপর ঈদের বাজার করতে এসে কোনাভাবেই বাজেট মেলানো যাচ্ছে না। আগে কয়েকবার ঘুরে পোশাকের দাম দেখে গিয়েছি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement