সারা দেশে ২০ হাজার নারী ও পুরুষ কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে সরকার

সারা দেশে ২০ হাজার কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে সরকার। এজন্য তাদের অন দ্য জব প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ইনকিউবেশন সাপোর্টের মাধ্যমে পাঁচটি কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাত ও রফতানি নিশ্চিতে ৭৬০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে কৃষি বিপণন বিভাগ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রংপুর পর্যটন মোটেলে কৃষি বিপণন অধিদফতর আয়োজিত ‘প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচালাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার-ডিএএম অঙ্গ) ‘ প্রকল্পের আঞ্চলিক বিপণন কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের পার্টনার-ডিএম অঙ্গের এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মাসুদ করিম। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল, ডিসি মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, বিএডিসি বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক আ ফ ম সাইফুল ইসলাম, কৃষি বিপণন অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক এন এম আলমগীর বাদশা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপণন অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা শাহীন আহম্মেদ। কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্টনারের (ডিএএম অঙ্গ) সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রশিদুল ইসলাম ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাসুদ রানা।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও তার চাহিদার বিপরীতে জিডিপিতে ধনাত্মক ধারা অব্যাহত রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি, প্রণোদনা ও অনুপ্রেরণা প্রদান, মনিটরিং আম, কাঁঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চালসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের স্টকহোল্ডারদের সমন্বয়ে ভ্যালু চেইন প্রমোশোনাল প্লাটফর্ম গঠন করা হবে। এ ছাড়াও সে অনুযায়ী সেবা প্রদান, দেশে লাভজনক ও পুষ্টিকর অপরিচিত ফসলগুলো উৎপাদন প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান এবং এলাকাভিত্তিক কৃষক, প্রশিক্ষক ও অংশীজনদের নিয়ে প্রশিক্ষণ সেমিনার, কর্মশালা এবং সভা আয়োজনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।’

মহাপরিচালক মাসুদ করিম আরো জানান, ‘পাঁচ বছরব্যাপী এই প্রকল্পের মেয়াদে কৃষি ব্যাবসায় যুবক ও নারীদের উৎসাহিত করতে ১২ হাজার নারী ও ৮ হাজার যুবককে অন দ্য জব প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মংস্থান সৃষ্টি ও ইউকিউবেশন সাপোর্টের আওতায় আসবে। উদ্যোক্তাদের ব্যবসা নিশ্চিতে যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৭০ শতাংশ অর্থ প্রকল্প থেকে অনুদান দেয়া হবে। এ ছাড়াও ২০০ উপজেলায় ইনপুটে সেবা, পণ্য কালেকশন পয়েন্ট, প্যাকেজিং ওয়াশিং, পরামর্শ সুবিধাসহ পার্টনার ফার্মার্স হাব তৈরি করা হবে। কৃষিপণ্য সংশ্লিষ্ট বাজার কারবারীদের জন্য ৫০০ স্টেকহোল্ডার অর্গানাইজেশন গঠন, আম, কাঁঠাল, আলু, টমেটো স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে মাল্টি স্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম গঠন ও পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৮১টি শস্যগুদাম ও ৬০টি পাইকারি বাজার মেরামত-সংস্কারও ছয়টি অফিস কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাজার অবকাঠানো উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার ১৬ উপজেলায় ১ হাজার ৩০ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হবে। কর্মশালায় রংপুর কৃষি অঞ্চলের কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।