১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সোহেল ও অমিতসহ বিএনপির ৫২ নেতা কারাগারে

-

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল এবং খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৫২ নেতাকে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যশোর অফিস জানায়, যশোরে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫১ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একটি মামলায় আদালতে ৫৬ জন নেতা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত পাঁচজনকে জামিন দেন এবং বাকি ৫১ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি।
আর যারা জামিন পেয়েছেন তারা হচ্ছেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, এ কে শরফুদ্দৌলা ছটলু ও আনিসুর রহমান মুকুল।
বিএনপি নেতা সোহেল কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজধানীর নিউমার্কেট থানার একটি মামলা ও পল্টন থানার দু’টি মামলায় সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার পৃথক দু’জন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে। জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: মইনুল ইসলাম ও মো: আক্তারুজ্জামানের আদালত তিন মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় দুই বছর করে চার বছর ও নিউমার্কেট থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এই তিন মামলায় আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে একটি ও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি মামলা করা হয়। ২০২৩ সালে এই দুই মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।


আরো সংবাদ



premium cement