ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে রোববার রাতেই ট্রেন দেশে আসবে। প্রথম চালানে এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে। তিনি বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু আমরা ধরে রাখব না। সোমবার থেকেই আমরা ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র জমা নেয়া শুরু করব এবং একদিনের মধ্যে পৌঁছে দেবো। আমরা ৪০ টাকা নির্ধারিত মূল্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ওপেন সেল করব। শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ঢাকায় ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করি, আমি বিশ্বাস করি ৬৪ জেলার অন্তত ৩০টি জেলায় পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় চলে আসবে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম কমে গেছে। গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের স্থানীয় বাজারে ২ থেকে ৪ শতাংশের বেশি দাম বাড়েনি। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম অয়েলের দাম ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমাদের আমদানিকারক এবং মিল মালিকদের সহযোগিতায় ১৬৩ টাকায় ১ লিটার এবং ১৪৯ টাকা খোলা বাজারে তেল বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি।
সয়াবিন তেলের (লুজ) দাম প্রায় ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রথম রমজান থেকে ১৮তম রমজানে এই কম্পিরিজনেই দাম দেয়া হয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা বাজারদর সহনশীল পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আশা করি আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা ধরে রাখতে পারব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে সেটা প্রকাশ করায় অনেক বিতর্কের শিকার হয়েছেন। সরু চাল, চিকন চাল এবং মোটা চাল এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের নাম মিলার পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রির একটি রূপরেখা তৈরি হয়েছে। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে এটা কার্যকর করে জানিয়ে দেবো। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে এটা কার্যকরী হবে।
তিনি বলেন, সভায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধির সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। কিভাবে যৌক্তিক মূল্যটা দীর্ঘসময় ধরে রাখতে পারি- সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আছে। এর মধ্যে পরিবহন অন্যতম একটা চ্যালেঞ্জ। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসেনশিয়াল কমোডিটি যেগুলো আছে, আগামী বাজেটের আগেই সেগুলোর দাম যেন সারা বছরের জন্য একটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি- সে বিষয়ে বৈঠকে এনবিআর-এর সাথে কথা হয়েছে। একই সাথে আমাদের আমদানিকারক ও উৎপাদক আছে, তাদের জন্য ১২ মাসের একটা পরিকল্পনা হলে সবার জন্য সুবিধা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা