১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুয়ালালামপুরে দেশীয় ইফতারসামগ্রীর পসরা

-

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া এখন সবচেয়ে বড় অনুকূল শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে বাংলাদেশীদের জন্য। ২০২২ সালের পর কলিং ভিসায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী বেকার কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে মালয়েশিয়াতে। এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠীর দেশ। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ধর্ম এক হলেও জীবনধারণ, পোশাক-আশাক ও খাবারেও রয়েছে ভিন্নতা। কর্মক্লান্ত বাংলাদেশী প্রবাসীরা হাড়ভাঙা খাটুনির পর দিনশেষে দেশীয় খাবারেই রসনার তৃপ্তি পেতে চান। আর তাদের চাহিদার ভিত্তিতে সারা মালয়েশিয়ায় অসংখ্য বাংলাদেশী খাবারের দোকানও রেস্টুরেন্ট চালু হচ্ছে। এসব বাংলাদেশী খাবারের দোকানেই উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। দেশীয় খাবারের পসরা সাজিয়ে বাঙালি ক্রেতাদের আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকার শহরগুলোতে। মালয়েশিয়া বর্তমানে কমবেশি দেড় মিলিয়ন বাংলাদেশীর পদচারণায় মুখরিত। দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। উপযুক্ত কারণ ছাড়া রোজা না রাখলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশী খাবারের মধ্যে যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি ইফতারেও রয়েছে ভিন্নতা। মালয়েশিয়ার খাবারগুলো মিশ্র পশ্চিমা ঘেঁষা। বাংলাদেশীরা প্রথম প্রথম মালয়েশিয়ায় গিয়ে এসব খাবার খেতে পারেন না। এসব অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। যদিও এসব খাবার উন্নতমানের এবং স্বাস্থ্যকর। তখন দেশীয় খাবার বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ও নিজেরা পাক করে খেয়ে থাকেন। মালয়েশিনরা ইফতারে ছোলাবুট ও মুড়ি খেতে জানে না। অন্যদিকে সব শ্রেণীর বাংলাদেশী মুখরোচক খাবার হচ্ছে মুড়ি, বুট, বেগুনি, আলুর চপ, পেঁয়াজো ও জিলাপি। এসব দেশীয় খাবারের লোভে প্রবাসীরা ভিড় করছেন দেশীয় রেস্তোরাঁর ইফতারির বাজারে। কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাং বাণিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশী জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে, পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, রংধনু রেস্টুরেন্ট, আলো ছায়া রেস্টুরেন্ট, ব্যাচেলর পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট। তাছাড়াও রয়েছে তেজপাতা রেস্টুরেন্ট, রসনা বিলাস রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট, বাসমতি রেস্টুরেন্ট, রাঁধুনী বিলাস রেস্টুরেন্টসহ অসংখ্য রেস্টুরেন্ট যেগুলো গড়ে উঠেছে বাংলাদেশী খাবারের আদলে। আর এতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।
তবে প্রবাসী ক্রেতারা বলছেন, এসব খাবারের দাম একটু বেশি। তারপরও প্রবাসের মাটিতে বসে এসব দেশীয় খাবারে ইফতার করে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। আর দেশীয় খাবার বিক্রেতারা বলছেন আমরা যেসব উপকরণ দিয়ে বাংলাদেশী খাবার তৈরি করে থাকি সেসব উপকরণ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেই থাকে। একবার দাম বাড়লে সেটা আর কখনো কমে না। তখন বাধ্য হয়ে বেশি দামেই এসব পণ্য কিনতে হয়। এজন্য তুলনামূলকভাবে দেশীর পণ্যের দাম একটু বেশি হয়। তারপরেও প্রবাসে দেশী খাবার খেতে পেরে প্রবাসীরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় বছরে লাখ লাখ বাঙালি ট্যুরিস্ট ভিসায় ঘুরতে আসেন। তাদেরও দেশীয় খাবারের চাহিদা মেটায় এ বাংলাদেশী রেস্তোরাঁগুলো।


আরো সংবাদ



premium cement
রোববার থেকে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি ১১ মাস ধরে সারকারখানায় উৎপাদন বন্ধ, গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ

সকল