দিল্লিতে লাইমলাইটে এখন কেজরির স্ত্রী
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতের দিল্লি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। একাধিকবার ইডি দফতরে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আবগারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি কেজরিকে মোট ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল সেই নবম হাজিরার দিন। কিন্তু সে দিনও কেজরি ইডি দফতরে যাননি। বৃহস্পতিবার রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে ওই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর রাতেই কেজরির বাসভবনে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি।
ঘণ্টাদুয়েক তল্লাশি অভিযানের পর কেজরিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দল আম আদমি পার্টি (আপ) জানিয়ে দেয়, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না তাদের নেতা।
ভারতের ইতিহাসে কেজরিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। তাকে আদালত ছয় দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। হেফাজত থেকেই সরকার পরিচালনা করছেন কেজরি। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। হেফাজত থেকে প্রশাসন এবং দলের সাথে কেজরির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছেন যিনি, তার নাম সুনীতা কেজরিওয়াল। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী।
ইডি হেফাজত থেকে কেজরির বার্তা ভিডিওর মাধ্যমে সুনীতা পৌঁছে দিয়েছেন জনগণের কাছে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ওই ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দেশবাসীর জন্য জেল থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সন্দেশ।’
স্ত্রীর মাধ্যমে দলের অনুগামীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন কেজরি। সুনীতা ভিডিওতে কেজরির বার্তা পাঠ করেন। কেজরি দলের কর্মীদের উদ্দশে বলেছেন, আমার গ্রেফতারির জন্য আপনারা বিজেপির কর্মীদের ঘৃণা করবেন না। আমাকে জেলে বেশি দিন রাখা যাবে না।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেও মুখ খুলেছিলেন সুনীতা। এক্সে লিখেছিলেন, আপনাদের নির্বাচিত তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতার দম্ভে গ্রেফতার করিয়েছেন মোদিজি। উনি সবাইকেই ধ্বংস করে দিতে চাইছেন। দিল্লির মানুষের প্রতি এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার জীবন দেশের প্রতি নিয়োজিত। মানুষ সব জানেন।
১৯৯৪ সালে কেজরি এবং সুনীতার বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে কেজরি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য তাদের।
এই দীর্ঘ সময়ে রাজনীতিতে একেবারেই সক্রিয় ছিলেন না সুনীতা। মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবেও নিজেকে প্রচারের আলোর আড়ালেই রেখেছিলেন। এতদিন স্বামীর ব্যস্ততার প্রভাব পড়তে দেননি সংসারে।