০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

লালপুরে আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

-

নাটোরের লালপুরে টিনের ঘরে আগুনে পুড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বৃদ্ধ এক নারী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দু’জন হলেন শাহানারা বেগম (৩২) ও তার মেয়ে মাইশা খাতুন (৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাইশার নানি ইয়াতুল নেছা (৮৫)। মাইশার বয়স যখন এক বছর, তখন শাহানারা বেগমের স্বামী শাহাদত হোসেন মারা যান। স্বামীর বাড়ি ছিল লালপুরের বেরিলাবাড়ি গ্রামে। স্বামীর মৃত্যুর পর শাহানারা বেগম ও মাইশা নওয়াপাড়া গ্রামে বিধবা মা ইয়াতুল নেছার সাথে থাকতেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নওয়াপাড়া গ্রামে পদ্মা নদীর ধারে টিনের ঘরে ইয়াতুল নেছা মেয়ে শাহানারা ও নাতনি মাইশাকে নিয়ে গতকাল রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টার পরপরই আগুনের উত্তাপ পেয়ে ঘরের বাইরে এসে ইয়াতুল নেছা চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে মারা যান শাহানারা। আর ইয়াতুল ঘরের মধ্যে ঢুকে দগ্ধ অবস্থায় নাতনি মাইশাকে উদ্ধার করে আনেন। পরে দগ্ধ মাইশা ও আহত ইয়াতুলকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মাইশার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মাইশা মারা যায়। ইয়াতুল লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শাহানারা বেগমের চাচাতো ভাই নাহিদ হোসেন বলেন, বসবাসের একমাত্র ঘরের এক পাশে তারা ঘুমাতেন, অন্য পাশে চুলা ও শুকনা খড়ি পালা দেয়া ছিল। চুলা অথবা কুপিবাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার চাচাতো বোন কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ কারণে হয়তো আগুন লাগার বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেননি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মা-মেয়ের লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement