ওজোপাডিকোর সাবেক এমডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা
- খুলনা ব্যুরো
- ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শফিকউদ্দিন এবং অন্য দুইজনের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৯ টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, ওজোপাডিকোর সাবেক কোম্পানি সচিব এবং সাবেক বোর্ড মেম্বার ও পরিচালক (অর্থ) আব্দুল মোতালেব ও চীনা প্রতিষ্ঠান হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ে ওয়েনজুন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সেবা গ্রহণ খাতে এলসি করে হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির অনুকূলে কোনো প্রশিক্ষণ প্রদান না করেও উক্ত খাতে ১৮ লাখ ৬৫ ৭৮৭ টাকা পরিশোধ করে, রিপেয়ার ট্রেনিং বাবদ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭০ টাকা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিস প্রদানের জন্য লোক নিয়োগ করে তাদের বেতন বাবদ ৫ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০টাকা প্রদান করে, থ্রি ইয়ার্স ওয়ারেন্টি ফর মেটার্সের জন্য ৭ কোটি ২১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৪.৩০ টাকা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিসের জন্য ভিন্ন একটি এলসি মূলে পুনরায় এক কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা, প্রশিক্ষণ প্রদান না করা সত্ত্বেও ভিন্ন একটি এলসি মূলে পুনরায় ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা, মিটার স্থাপনের পর তিন বছরের বিএসইসিও কর্তৃক টেকনিক্যাল প্রদানের কথা থাকলেও পুনরায় উক্ত সার্ভিস বাবদ হেক্সিংকে ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৩১০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান, সেবা সংক্রান্ত এলসি মূলে ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৫২.৫৩ টাকা পরিশোধ করে কোনো বিল ভাউচার ছাড়াই ইয়ে ওয়েজুন ডিএমডির অনুকূলে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা প্রদান করে। এ ছাড়া ইয়ে ওয়েজুন (ডিএমডি) দেশে না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে তার নামে দুই লাখ ১৬ হাজার ৩৬১ টাকা ও দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০ টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৯ টাকা আত্মসাৎ ও বিএসইসিও এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিক উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমডি ইয়ে ওয়েনজুন এবং ওজোপাডিকোর সাবেক কোম্পানি সচিব আব্দুল মোতালেব পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি তিন লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে বিদেশে পাচারের অপচেষ্টা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা