২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সিটি করপোরেশন নির্বাচন

খুলনায় হাতপাখা প্রার্থীর ২৮ দফা ইশতেহার

-

৩০ শতাংশ পৌরকর মওকুফ ও ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করাসহ নানা অঙ্গীকার নিয়ে ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাতপাখার প্রার্থী বলেন, ১৯৯০ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী থেকে খুলনা অবহেলিত ও বঞ্চিত। অপরিকল্পিত রাস্তা খননে শহরজুড়ে বেড়েছে ভোগান্তি। বহুবিধ নাগরিক অধিকার হতে বঞ্চিত নগরবাসী। আগের মেয়রদের দেয়া সব ওয়াদা প্রতিশ্রুতি ও ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার ছিল অকার্যকর ও অন্তঃসারশূন্য।
আবদুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এই নগরকে বাঁচাতে আর কালক্ষেপণ নয়, এখনই দল-মত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। কেসিসির মেয়র নির্বাচিত হলে শুধু দুর্নীতি দমন নয়, সন্ত্রাস, দলবাজি, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজি মুক্ত করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। ভেজালমুক্ত খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ইনসাফপূর্ণ বাজার নিয়ন্ত্রণ, নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পাশাপাশি টেকসই ও উন্নত রাস্তা-ঘাট নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। পরিশেষে তিনি আধুনিক ও বসবাসযোগ্য খুলনা গড়তে নগরবাসীকে হাতপাখা মার্কায় ভোট দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মো: নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল্লাহ, সমন্বয়নকারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহসমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম প্রমুখ।

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুশফিক
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো: বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে আর বাধা রইল না মুশফিকের।
মুশফিকের আইনজীবী এস এম মাহাবুবুল ইসলাম বলেছেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ১৮ মে ৩০০ সমর্থনকারী ভোটারের সমর্থনের তথ্য ভুল থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে মুশফিকের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন। ২৩ মে আপিল শুনানিতে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মুশফিক আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আমার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া মানে জনতার বিজয়। আমি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ভাবি কিংবা না ভাবি সেটা সময়ের দাবি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement